ঘটনার পর থেকেই পলাতক দিহানের বাসার গার্ড

রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের পড়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দিন ওই বাসা থেকে এক গার্ড (নিরাপত্তা প্রহরী) পালিয়েছে। এ ঘটনায় আজ তিন দিন হয়ে গেলেও দুলাল নামের ওই গার্ডের (নিরাপত্তা প্রহরী) সন্ধান পায়নি পুলিশ।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা বলছেন, ঘটনার দিন দুপুরেই নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছে এক নিরাপত্তা প্রহরী। মামলার তদন্তে ওই গার্ডকে প্রয়োজন ছিল। সেদিন কি ঘটেছিল, ঘটনার আগে ও পরে বাসাতে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময়ের বিষয়গুলো তার কাছ থেকে জানা যেত।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) সরেজমিন কলাবাগানের লেক সার্কাস এলাকার ডলফিন গলির পান্থবাস নামের ওই বাসায় গিয়ে জানা যায়, অচেতন ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে দিহান হাসপাতালে যাওয়ার পর ওইসময় দায়িত্বে থাকা গার্ড পালিয়ে যায়।

সিনিয়র গার্ড মোকারম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি ২০১৭ সাল থেকে এই বাসার নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করে আসছি। আমরা মূলত দুজন মিলে কাজ করি। আমি সকালে ডিউটি করলে দুলাল রাতে করে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবারের আগে রাত অর্থাৎ বুধবারে আমি নাইট ডিউটি করি। বৃহস্পতিবার সারাদিন ডিউটি করেছে দুলাল। সকাল থেকে আমি ঘুমাচ্ছিলাম। এই সময়ের মাঝেই ঘটনাটি ঘটে গেছে। আড়াইটার দিকে তিন পুলিশ সদস্য এসে আমাকে ডেকে উঠায়। তখন থেকে আমি দুলালকে আর দেখতে পাইনি। পরে দেখা যায়, তার কাপড়-চোপড়ও নেই।

দুলাল সম্পর্কে এই সিনিয়র নিরাপত্তা প্রহরী বলেন, এপ্রিল মাসের দিকে দুলাল এখানে জয়েন করেন। তার দেশের বাড়ি টাঙ্গাইল। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। বাসায়ও খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, যখন ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়ে তখন নিরাপত্তা প্রহরী দুলালের কাছে সাহায্য চায় দিহান। দিহান আর দুলাল মিলেই তাকে গাড়িতে উঠায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপরই দুলাল পালায়।

নিরাপত্তা প্রহরী দুলালের বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা ডিএমপি রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দুলালের পালিয়ে যাওয়ার কথা আমরা জানি। তাকে খোঁজা হচ্ছে। তাকে পেলে ঘটনা সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানা যাবে।