পিকে হালদারের আরও দুই সহযোগী গ্রেফতার

প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে কানাডায় পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের আরও দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তারা হলেন পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক। সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, এই দুজন পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী। অর্থ আত্মসাতে পিকে হালদারকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি তারা নিজেরাও প্রায় ৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এর আগে চলতি মাসেই পি কে হালদারের চার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে ৪ জানুয়ারি শঙ্খ ব্যাপারি, ১৪ জানুয়ারি অবন্তিকা বড়াল ও ২১ জানুয়ারি সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলার তদন্তে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা। তবে মামলা দায়েরের আগেই পিকে হালদার পালিয়ে কানাডা চলে যান। পাচারের টাকায় কানাডায় তিনি ব্যবসা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ধরিয়ে দিতে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন পি কে হালদার। একই সময়ে তিনি চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) নিজের নিয়ন্ত্রণে ধরে রাখেন। এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা তুলে তা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেন তিনি। এরমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও পরে মামলা দায়ের করে।