কলাবাগানে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা: প্রতিবেদন ১১ ফেব্রুয়ারি

রাজধানীর কলাবাগানে ডলফিন রোডে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন ওরফে শাহনূরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াছমিন আরা প্রতিবেদনের জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান মামলাটির প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত প্রতিবেদনের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ৮ জানুয়ারি আসামি দিহান আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৭ জানুয়ারি রাতের এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় আনুশকার বাবা মো. আলামিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ফারদিন ইফতেখার দিহান বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীকে মোবাইলফোনে ডেকে নিয়ে যায়। ৬৩/৪ লেক সার্কাস ডলফিনগলি পান্থপথ কলাবাগানের বাসায় নিয়ে যায় তাকে। এরপর ফাঁকা বাসায় তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ রক্তক্ষরণের কারণে মেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। তখন বিবাদী ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যায়। সেখানে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত হাসপাতালে যায়।

ওই তরুণের তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদেরও আটক করে পুলিশ। পরে চার জনকে কলাবাগান থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ পরে স্কুলছাত্রীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।