রাজউকের প্লট জালিয়াতি: হাসেমপুত্রসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা চলবে

রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি মামলায় পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ হাসেমের ছেলে শওকত আজিজ (রাসেল) ও আশফাক আজিজ, রাজউকের সাবেক সদস্য এড ডি ফয়েজ এবং একেএম ওয়াহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে। শওকত আজিজ রাসেলের মামলা বাতিলের রুল খারিজ ও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং এড ডি ফয়েজ ও একেএম ওয়াহিদুল ইসলামের আবেদন সরাসরি খারিজ করে এ আদেশ দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক খান ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। রাজউকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও  সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী রাজউকের চেয়ারম্যান থাকাকালে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে’ অন্যদের যোগসাজশে পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম এ হাসেমের দুই ছেলে শওকত আজিজ ও আশফাক আজিজকে পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠা করে মোট ২০ কাঠা জমির দুটি প্লট বরাদ্দ দেন। অথচ তারা ওই প্রকল্পে শিল্পপতি কোটায় প্লট বরাদ্দের আবেদন করে প্লট পাননি। সে কারণে ওই আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়ে জামানতের টাকা তুলে নেন। আবেদন প্রত্যাহারকারীরা বিবেচনাযোগ্য না হলেও তা রাজউকের বিশেষ বোর্ড সভায় এই বরাদ্দ অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয় বলে এজাহারে বলা হয়। সে কারণে বোর্ডের সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন—ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী, রাজউকের সাবেক পাঁচ সদস্য (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এস ডি ফয়েজ, এ কে এম ওয়াহেদুল ইসলাম, এস এম জাফর উল্লাহ, এইচ এম জহুরুল হক ও রেজাউল করিম তরফদার এবং দুই ভাই শওকত আজিজ ও আশফাক আজিজ।

২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর আসামিদের আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলের আবেদনের ওপর রুল ও স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই রুলের শুনানি শেষে শওকত আজিজ রাসেলের মামলা বাতিলের রুল খারিজ ও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং এড ডি ফয়েজ ও একেএম ওয়াহিদুল ইসলামের আবেদন সরাসরি খারিজ করলেন হাইকোর্ট।