খালেদা জিয়ার ২ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ফের পেছালো

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায়  অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য  আগামী ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে  অস্থায়ীভাবে স্থাপিত আদালতের বিচারক  আসাদুজ্জামান নতুন এই দিন ধার্য করেন।

এদিন মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগ এনে  মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন পালনের সংবাদ ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দু’টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— খালেদা জিয়ার এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী,  তার জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল উল্লেখ করা হয়েছে। তার বিয়ের কাবিনে জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল লেখা হয়েছে। সর্বশেষ ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্ম দিন পালন করে আসছেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে করা মামলায় বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি (খালেদা জিয়া) রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

২০১৭ সালের২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত বলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।