হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ বহাল

বিচারিক আদালতের ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশের মেয়াদ কমিয়ে ঢাকা-৮ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে হাজী সেলিমের আপিল আবেদন খারিজ করে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস। 

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৯ মার্চ দিন নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্ট।

হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশের মামলার যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারককে ওই নথি প্রেরণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। সে মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত।

এরপর ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে হাজী সেলিমের সাজা বাতিল করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টকে হাজী সেলিমের আপিলের শুনানি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি শুনানির জন্য উদ্যোগী হয় দুদক।