ক্ষমা চাইতে বলা নোটিশের জবাবে যা বললেন সুজন

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানকে মারতে যাওয়ার ঘটনায় দেওয়া আইনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন বিসিবির পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। শনিবার (১৭ এপ্রিল) সুজনের জবাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী মো. আবু তালেব।

খালেদ মাহমুদ সুজনের পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী নোটিশের জবাব দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেটি ছিল অপ্রত্যাশিত ও সিনিয়র ক্রিকেটার রকিবুল হাসানকে উদ্দেশ্য করে ওই ঘটনা ঘটেনি। তারপরেও ওনার সঙ্গে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সে জন্য উনার ছোট ভাই হিসেবে ক্ষমা প্রার্থনা করবো।

এর আগে গত ৭ মার্চ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানকে মারতে যাওয়ার ঘটনায় বিসিবির পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব এ নোটিশ প্রেরণ করেন।

নোটিশে বলা হয়েছিল, ‘গত ২০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানকে মারতে যান আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দেশের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিনিয়র ক্রিকেটার রকিবুল হাসানের দিকে তেড়ে যান খালেদ মাহমুদ সুজন।’

নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবী বলেন, সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান একজন মুক্তিযোদ্ধা ও তিনি খালেদ মাহমুদ সুজনের থেকেও জ্যেষ্ঠ ক্রিকেট অধিনায়ক। তাকে অপমানের ঘটনা আমার নজরে এসেছে। এ কারণে আমি সংক্ষুব্ধ হয়ে জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠিয়েছি।