হাইকোর্টের নজরে আনা হলো চিকিৎসক-পুলিশ বাগবিতণ্ডা

করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব কমাতে চলমান লকডাউনের মধ্যে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে এনেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই ঘটনা নজরে আনা হয়।

ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। তিনি আদালতকে বলেন, গত ১৮ এপ্রিল একজন চিকিৎসককে পুলিশ হয়রানি করেছে। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আপনাদের (আদালতের) কাছে উপস্থাপন করছি।

জবাবে আদালত বলেন, পুলিশ-চিকিৎসক বাগবিতণ্ডা করেছেন। তাদের আদালতে আসতে হবে। তখন বিষয়টি দেখা যাবে।

এরপর আদালত কার্যতালিকায় থাকা মামলার ওপর শুনানি শুরু করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল লকডাউনের পঞ্চম দিনে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের তল্লাশিতে পড়েন। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউমার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন।

চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান। সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান ওই চিকিৎসক। এরপর তার কাছে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়। জেনি জানতে চান, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে?

এরপর জেনি তার গাড়িতে বিএসএমএমইউ স্টিকার ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া তার লিখিত পাস দেখান। এরপরও পুলিশ তার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চান। পরে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।