ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন পেয়ে কারামুক্ত ১০ হাজার ৬৮১ হাজতি

করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফার চতুর্থ দিন আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) সারাদেশের অধস্তন আদালতসমূহে ৩ হাজার ১৩৮টি আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে এক হাজার ৬৩৫ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সর্বমোট চার কার্যদিবসে ভার্চুয়াল কোর্টে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারামুক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৮১ জন হাজতি। সোমবার (১৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ‘করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে অধঃস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন এবং অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তের ওপর শুনানি হয়েছে। আজ সারাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে ৩ হাজার ১৩৮টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং এক হাজার ৬৩৫ জন হাজতিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে ভার্চুয়াল আদালতের প্রথম দিনে সারাদেশে অধস্তন  আদালতসমূহে এক হাজার ৬০৪ জন, দ্বিতীয় দিনে ৩ হাজার ২৪০ জন, তৃতীয় দিনে ২ হাজার ৩৬০ জন এবং চতুর্থ দিনে এক হাজার ৮৪২ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে চার কার্যদিবসে ১৭ হাজার ৯৮০টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, প্রাদুর্ভূত মহামারির (কোভিড-১৯) ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’

এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।