ভার্চুয়াল কোর্টে ১৩৪৯ হাজতির জামিন

করোনা সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফা লকডাউনের সপ্তম দিনে সারাদেশে অধস্তন আদালতসমূহে দুই হাজার ৮৩১টি আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩৪৯ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সর্বমোট সাত কার্যদিবসে ২৩ হাজার ৭৮৪টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট ১৩ হাজার ৬০৭ জন হাজতি জামিন পেয়ে কারামুক্ত হলেন।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে অধঃস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন এবং অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তের ওপর শুনানি হয়েছে। গতকাল (২১ এপ্রিল) সারাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে দুই হাজার ৮৩১টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং এক হাজার ৩৪৯ জন হাজতি বা অভিযুক্ত আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ভার্চুয়াল আদালতের প্রথম দিনে সারাদেশে অধস্তন আদালতসমূহে এক হাজার ৬০৪ জন, দ্বিতীয় দিনে তিন হাজার ২৪০ জন, তৃতীয় দিনে দুই হাজার ৩৬০ জন,  চতুর্থ দিনে এক হাজার ৮৪২ জন, পঞ্চম দিনে এক হাজার ৬৩৫ জন এবং ষষ্ঠ দিনে এক হাজার ৫৭৬ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়। আর সবমিলিয়ে সর্বমোট সাত কার্যদিবসে ২৩ হাজার ৭৮৪ টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে কারামুক্ত হয়েছে মোট ১৩ হাজার ৬০৭ জন হাজতি।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে- কোভিড-১৯ মহামারির বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।