আরমানিটোলায় নিহতদের দাফনে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে

পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় হাজী মুসা ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের দাফনের জন্য প্রতিটি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভাস্কর দেবনাথ এ তথ্য জানান।আরমানিটোলায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন

এসময় তিনি বলেন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রতিটি ফ্লোরে প্রতিটি রুমে তল্লাশি চালাচ্ছেন। আমরা সমন্বিতভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছি। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটি সরাসরি তদারকি করছেন। সেই সঙ্গে এই ঘটনা শিল্প মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও তদারকি করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ভবনে কেমিক্যাল কিংবা বিস্ফোরক জাতীয় কোনও দ্রব্য যেন না থাকে সে বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দেবো। এ লক্ষ্যে কয়েকটি টিম কাজ করছে।আরমানিটোলায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন

তিনি জানান, এ ঘটনায় ভবনটিকে সিলগালা করে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। পরবর্তীতে কোনও সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ভোররাত ৩টা ১৮ মিনিটের দিকে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা হাজী মুসা মেনশনে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগে। ভবনের নিচতলায় আগুন লাগলে তার ধোঁয়ায় ভবনের দুই তলা থেকে ছয় তলার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বারান্দার গ্রিল কেটে সব ফ্লোরের লোকজনকে উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনেন। শুক্রবার সকাল ৯টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি দল প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন। এই অগ্নিকাণ্ডে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন।আরমানিটোলায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন জানান, ভোরে ঘটনাস্থল থেকে সিকিউরিটি গার্ড রাসেল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলুফার নামে ইডেন কলেজের এক শিক্ষার্থীকে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া সকাল ১০টার পর ভবনের পাঁচ তলা থেকে আরও দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজন ওজিউল্লাহ। অন্য জনের পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি।

আরও পড়ুন- 

আরমানিটোলার আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪

আরমানিটোলায় আগুন: ইডেন কলেজের এক শিক্ষার্থীও নিহত

আরমানিটোলায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন: নিহত ১, আহত ১৮

‘আগুনের মধ্যেই বসবাস করে আসছিলেন ওই ভবনের বাসিন্দারা’