সভাপতি পদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারে হট্টগোল-হাতাহাতি

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শূন্য পদে সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ডাকা বিশেষ সাধারণ সভায় তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।

নির্ধারিত সভার শুরুতে সাধারণ সভায় কে সভাপতিত্ব করবেন সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল  হট্টগোল শুরু হয়। ওই পরিস্থিতিতে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বিধান অনুযায়ী আমি এ সভা পরিচালনা করবো।

কিন্তু তাতে বিরোধিতা করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ  শফিক উল্লাহ। তিনি মিলনায়তনের ডায়েসে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেন, তিনি এ সভার সভাপতিত্ব করবেন।

পরে শফিক উল্লাহের সঙ্গে রুহুল কুদ্দুস কাজলের বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে। এক পর্যায়ে শফিক উল্লাহ অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনকে সমিতির সভাপতি ঘোষণা দেন। তখন তাকে সমর্থন জানান আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা। কিন্তু বিরোধিতা করেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।

এসময় কণ্ঠ ভোট নয় ব্যালটের নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করার বিষয়ে আইনজীবী পুনরায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই মিলনায়তনের বিদ্যুৎ ও মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সেখানে অবস্থানরত আইনজীবী বাইরে বেরিয়ে আসেন।

এদিকে মিলনায়তনের বাইরে সমিতির সহ-সভাপতি শফিক উল্লাহর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা রেজুলেশন পাস হয়েছে এবং অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনকে সভাপতি মনোনিত করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের পক্ষে পাল্টা ঘোষণা দিয়ে সমিতির বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সাধারণ সভা করার মতো পরিবেশ-পরিস্থিতি না থাকায় সভা মুলতবি করা হলো। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত ছাড়াই পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বিশেষ সাধারণ সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, আমি শুনতে পেলাম আজ বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আমাকে যদি আবারও সভাপতি নির্বাচিত করা হয় আমি বিগত দুই বছরের মতো এবারেও উন্নয়ন কাজ করে যাবো।