ঈদে স্বজনদের সঙ্গে বাড়তি কথা বলার সুযোগ পেলেন বন্দিরা

নিয়মিত কথা বলার বাইরেও ঈদ উপলক্ষে ফোনে স্বজনদের সঙ্গে বাড়তি কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন দেশের কারাগারগুলোতে থাকা বন্দিরা। করোনা মহামারির কারণে বর্তমানে স্বজনদের সঙ্গে সামনা-সামনি সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে। কেবল প্রতি সপ্তাহে একজন বন্দি মোবাইল ফোনে ১০ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ পেয়ে থাকেন। তবে ঈদ উপলক্ষে স্বজনদের সঙ্গে ১০ মিনিটের বাইরে আরও একদিন তিন মিনিট কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১৪ মে) বিকালে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে বর্তমানে দেশের সব কারাগারে সশরীরে সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে। এমনকি ঈদসহ বিশেষ দিনগুলোতে স্বজনরা যে খাবার সরবরাহ করতে পারতেন সেটাও বন্ধ রয়েছে। তাই আমরা বন্দিদের তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার বাড়তি সুযোগ দিয়েছি। একজন বন্দি প্রতি সপ্তাহে স্বজনদের সঙ্গে একবার ১০ মিনিট করে কথা বলতে পারেন। ঈদ উপলক্ষে এই ১০ মিনিট ছাড়াও আরও একদিন তারা তিন মিনিট ফোন করার সুযোগ পাবেন।’

মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘স্বজনদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করতে পেরে বন্দিরা অনেক খুশি হন। আমরা সেই সুযোগটি ঈদে করে দিয়েছি। সব বন্দি এই সুযোগ পাবেন।’

 ওয়ার্ডেই ঈদের নামাজ এবং বিশেষ খাবার 

যেকোনও বিশেষ দিনে বন্দিদের জন্য ভালো খাবার সরবরাহ করে কারা অধিদফতর। এবারও ঈদুল ফেতর উপলক্ষে বন্দিদের বিশেষ খাবার দেওয়া হয়েছে। কারাবন্দিরা নিজেদের ওয়ার্ডেই জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এরপর সকালে পায়েস ও মুড়ি খেয়েছেন।

দুপুরে বন্দিদের খাবারের তালিকায় ছিল পোলাও, মুরগি, গরুর মাংস, মিষ্টি, কোক ও সর্বশেষ পান সুপারি।

রাতেও তাদের উন্নতমানের খাবার দেওয়া হবে। থাকবে সাদা ভাত, আলুর দম ও রুই মাছ।