সাবেক এমপি আউয়াল গ্রেফতার

রাজধানীর পল্লবীতে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এমএ আউয়ালকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার আল মঈন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এমএ আউয়ালকে নিয়ে এই মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

তিনি বলেন, ভৈরব থেকে আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিকালে বিস্তারিত জানানো হবে।

সাহিনুদ্দিনকে (৩৩) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়াল জড়িত আছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাহিনুদ্দিনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের মা আকলিমা বেগম। তিনি বাদী হয়ে পল্লবী থানায় আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।সাহিনুদ্দিন

মামলার এজাহারে আকলিমা বেগম উল্লেখ করেছেন, গত ১৬ মে বিকাল ৪টায় সুমন ও টিটু নামে দুই যুবক সাহিনুদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে উল্লেখ করে ফোন দিয়ে ডেকে নেন। সাহিনুদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে পৌঁছালে সুমন ও টিটুসহ ১৪/১৫ জন তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় সাহিনুদ্দিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে নিয়ে ফের কুপিয়ে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়। ছেলের সামনেই নৃশংসভাবে খুন হন সাহিনুদ্দিন।

আকলিমা বেগমের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকে আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি এমএ আউয়ালের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় খুন হতে হয় তাকে।

মামলায় প্রধান আসামি আউয়াল। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুমন, মো. আবু তাহের, মুরাদ, মানিক, মনির, শফিক, টিটু, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, আবদুর রাজ্জাক, মরন আলী, লিটন, আবুল, বাইট্যা বাবু, বড় শফিক, কালু ওরফে কালা বাবু, নাটা সুমন ও ইয়াবা বাবু। আসামিরা সবাই পল্লবী থানা এলাকার বাসিন্দা। এজাহারভুক্ত এই ২০ জন ছাড়াও অচেনা আরও ১৫ জনকে মামলায় আসামি করা হয়। 

১৯ মে দিবাগত রাতে রাজধানীর পল্লবী ও রায়েরবাগ এলাকা থেকে মো. সুমন বেপারী (৩৩) ও মো. রকি তালুকদারকে (২৫) গ্রেফতার করে ডিবি। এর আগে গত ১৬ মে বিকালে পল্লবী থেকে মো. মুরাদকে এবং ১৮ মে সকালে মো. দিপুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন-

সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলা: নেপথ্যে সাবেক এমপি আউয়াল?