জামিন পেলে ডেসটিনি পরিচালক দিদারুল দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন: হাইকোর্ট

ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমকে জামিন দেওয়া হলে তিনি দেশ থেকে পালাতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৫ মে) আড়াই বছর আগে দিদারুল আলমের জামিন আবেদন খারিজ করে প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, এই মামলা ১৯৩৫ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার টাকা পাচার সম্পর্কিত। তাই তাকে জামিন দেওয়া হলে, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রভাবিত করবে। এমনকি দেশ থেকে পালাতেও পারে। মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় আবেদন খারিজ করা হলো।

২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট দিদারুল আলমের জামিন আবেদন খারিজ করে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে দিদারুল আলমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এম. মইনুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

প্রসঙ্গত, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড ও ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশনের ১৯৩৫ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় মামলা করে দুদক। ওই মামলায় ২০১৪ সালের ৪ মে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন, প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল(অব.) হারুন-অর রশিদ, দিদারুল আলমসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

এর আগেই ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর দিদারুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। এরপর তিনি কয়েক দফা জামিনের আবেদন করেন। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন দিদারুল আলম। যা ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট খারিজ করেন হাইকোর্ট। তবে মামলার আরেক আসামি হারুন-অর রশিদসহ কয়েকজন জামিনে রয়েছেন।