কবরস্থান থেকে লাশ ও কঙ্কাল চুরির বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং সর্বজনীন লাশ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলার বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. গোলাম রহমান।
এর আগে গত ১৪ মার্চ সারা দেশের কবরের লাশ সুরক্ষা ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়। রিটে লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়াও রিটে যাদের লাশ ও কঙ্কাল চুরি হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান এ রিট দায়ের করেন।
পরে আইনজীবী ড. গোলাম রহমান বলেন, লাশ ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে বাংলাদেশে কোনও আইন নেই। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ সংক্রান্ত আইন আছে। কিন্তু বাংলাদেশে লাশ সুরক্ষায় কোনও আইন নেই।
লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় পত্রপত্রিকায় সংবাদ এসেছে। শত শত লাশ ও কঙ্কাল চুরির খবর এসেছে। লাশ চুরি করে বিক্রি করা হয়। কঙ্কাল চুরি করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিক্রি করা হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে লাশ ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে আইন থাকলেও বাংলাদেশে কোনো আইন নেই। এজন্য সুনির্দিষ্ট একটি আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।