পল্লবীতে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা: আরও ২ জনের স্বীকারোক্তি

রাজধানীর পল্লবীতে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা হত্যা মামলায় আরও দুই আসামি ইকবাল ও শরীফ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। আরেক আসামি টিটুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২৮ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালতে আসামিরা জবানবন্দি দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন আসামিদের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি ইকবাল ও শরীফ স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়। পরে আদালতে তিনি জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এছাড়া টিটুকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সাহিনুদ্দিনকে (৩৩) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়াল জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাহিনুদ্দিনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের মা আকলিমা বেগম। তিনি বাদী হয়ে পল্লবী থানায় আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলাটি এখন ডিবিতে।

মামলার এজাহারে আকলিমা বেগম উল্লেখ করেছেন, গত ১৬ মে বিকাল ৪টায় সুমন ও টিটু নামে দুই যুবক সাহিনুদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে উল্লেখ করে ফোন দিয়ে ডেকে নেন। সাহিনুদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় সাহিনুদ্দিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে নিয়ে ফের কুপিয়ে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়। ছেলের সামনেই নৃশংসভাবে খুন হন সাহিনুদ্দিন।

আকলিমা বেগমের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকে আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি এমএ আউয়ালের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় খুন হতে হয় তাকে।