এলএসডিসহ গ্রেফতার ৫ শিক্ষার্থী রিমান্ড শেষে কারাগারে

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে এলএসডি (লাইসার্জিক এসিড ডাইথ্যালামাইড)সহ গ্রেফতার  ৫ শিক্ষার্থীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রবিবার (৬ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আসামিরা হলো— সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফ (২০), এস এম মনোয়ার আকিব ওরফে আনান (২০), নাজমুস সাকিব (২০), নাজমুল ইসলাম (২৪) ও বি এম সিরাজুস সালেকীন ওরফে তপু (২৪)।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের সবাইকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক  রাখার আবেদন করেন তিনি। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩১ মে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত আসামিদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ মে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা সবাই বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের তাদের কাছ থেকে দুই হাজার মাইক্রোগ্রাম ওজনের ১২ পিস ব্লটার পেপার, এলএসডি বিক্রির নগদ ৪৬ হাজার টাকা, একশ’ মার্কিন ডলার, গাঁজা, মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আ. আহাদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে সাইফ, আনান ও সাকিবকে আটক করা হয়। এ সময় সাইফের কাছ থেকে এলএসডি মিশ্রিত তিন পিস ব্লটার পেপার, আকিব ও সাকিবের কাছ থেকে এক পিস করে ব্লটার পেপার উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাজমুল ও তপুকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকেও ছয়টি ব্লটার পেপার ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।’

তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা গত এক বছর ধরে এলএসডি মাদক সেবন ও ব্যবসা করে আসছিল। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে এলএসডি মাদক কিনে কুরিয়ার ও বিভিন্ন ব্যাগেজের মাধ্যমে দেশে আনতো। এই চক্রের আরও  অনেক সদস্য রয়েছে। তাদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যু তদন্ত করতে গিয়ে দুইশ’ এলএসডি মাদক মিশ্রিত ব্লটার পেপার উদ্ধার ও তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।