নারী পাচার

রুবেলের স্বীকারোক্তি, কারাগারে সোনিয়া

ভারতে তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জের ধরে বাংলাদেশে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় আসামি রুবেল ওরফে রাহুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১২ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আরেক আসামি সোনিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের দুজনকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি রুবেল স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তার রেকর্ড করার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামি সোনিয়াকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রুবেলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত , ভারতে চার-পাঁচ জন তরুণ মিলে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে পৈশাচিক শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করে। সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে ভাইরাল হয়। ভারতের পাচার হওয়ার পর ৭৭ দিনের নির্যাতন ও বন্দিদশা থেকে সম্প্রতি পালিয়ে দেশে ফিরে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন ওই তরুণী। মামলায় মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়ে। তারা হলেন- রিফাদুল ইসলাম হৃদয়, আনিস, আবদুল কাদের, মেহেদী হাসান বাবু, মহিউদ্দিন, হারুন, বকুল ওরফে ছোট খোকন, সবুজ, রুবেল ওরফে রাহুল, সোনিয়া, আকিল ও ডালিম।

এ নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে তারা ভিডিওটির একজনের সঙ্গে বাংলাদেশি একটি ছেলের ছবির মিল খুঁজে পায়। পুলিশ নিশ্চিত হয় নির্যাতনকারী ওই যুবকের নাম রিফাতুল ইসলাম হৃদয়। সে রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। রিফাতুল ইসলাম হৃদয়ের পরিচয় তার মা ও মামার কাছ থেকে শনাক্ত করা হয়। এলাকায় সে টিকটক হৃদয় নামে পরিচিত।তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, চার মাস আগে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাকে