বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুই সিটির পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের (উত্তর ও দক্ষিণ) হাসপাতাল ও গৃহবর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই প্রতিবেদনে পয়োনিষ্কাশন, সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ভবন, সুইপার প্যাসেজসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়েও জানাতে সিটি করপোরেশন সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের শুনানিতে ছিলেন রিটপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন অনুসারে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকে ‘হ্যাজার্ডাস ওয়েস্ট হিপড ইন ওপেন বিনস’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই নিউজের প্রেক্ষিতে একই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও সাংবাদিক মো. আল আমীন সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু সেই নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় ১ এপ্রিল তিনি রিট দায়ের করেন।
সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ এর ৭ (৬)(গ)(আ) অনুসারে কেন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়া) বিধিমালা ২০০৮ এর ৩ বিধি অনুসারে দেশের প্রতিটি প্রশাসনিক বিভাগে কেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গঠনের নির্দেশনা দেয়া হবেনা, রুলে তা জানতে চান আদালত।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ ও বন অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহা পরিচালক, পরিবেশ ও বন অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ পরিচালক এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়ানগস্টিক মালিক সমিতির মহাসচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।