অর্থ আত্মসাতের মামলায় মশিউর রহমান রিমান্ড শেষে কারাগারে

ব্যবসায়ীদের ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কাফরুল থানার পৃথক দুই মামলায় মশিউর রহমান খান ওরফে বাবুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৬ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকি বিল্লাহর আদালত আসামির দুই মামলায় তিন দিন করে মোট ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১ জুন রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মশিউর রহমান খানকে গ্রেফতার করেন।

সিআইডি জানায়, মশিউর রহমান সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের অন্যতম হোতা। দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। মশিউর রহমানের বাড়ি গোপালগঞ্জে। গুগলসহ অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন মশিউর রহমানের সহযোগীরা। পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল, ডাল, তেল, লবণসহ বিবিধ পণ্য সরবরাহকারীদের সঙ্গে তার সহযোগীরা যোগাযোগ করেন।

তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহজে ধরতে পারেন না ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। অপরাধীরা যেকোনও পণ্য কেনার পর তার ১০-৩০ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করতেন। বাকি ৭০ শতাংশ মূল্য চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতেন। পরে ব্যবসায়ীরা ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন— মশিউর রহমান যে চেক দিয়েছেন, ওই অ্যাকাউন্টে সে পরিমাণ টাকা  থাকে না। এরপর দিনের পর দিন টাকা না দিয়ে নানাভাবে প্রতারিত করেন মশিউর রহমান। এই ঘটনায় গত ৪ জুন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রুস্তম আলী ও গত ২ জুন আযম আলী নামে আরেক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কাফরুল থানায় মশিউরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা করেন।