সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন চেয়ে আইনি নোটিশ

চট্টগ্রাম নগরীর ফুসফুস হিসেবে পরিচিত পূর্ব রেলের সদর দফতর সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয়ে (সিআরবি) হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন চেয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রেল মন্ত্রণালয় সচিব, রেলওয়ের ডিজি, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জোনের জিএম, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির সিইও, পরিবেশ অধিদফতরের ডিজি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
 
বুধবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম এ নোটিশ পাঠায়।

নোটিশে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের খবর অনুসারে সিআরবির ৬ একর জমিতে ৫০০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং ১০০ শয্যার মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণে এক বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে গত ১৮ মার্চ রেলওয়ে একটি চুক্তি করে। অথচ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ঐতিহাসিক স্থাপনা ও পরিবেশগত সংরক্ষিত এলাকায় তালিকায় রয়েছে সিআরবি। তাই সিআরবি সংরক্ষণ করা জরুরি। সিরআরবি এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে শত বছরের অধিক পুরোনো গাছ কাটতে হবে। এতে পরিবেশগত মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া সিআরবির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। তাই প্রকল্পটি সিআরবি এলাকা থেকে পরিবর্তন করে পরিবেশের ক্ষতি হবে না, নগরে এমন স্থানে স্থাপনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
 
তাই নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।      
 
প্রসঙ্গত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সিআরবি ঐতিহাসিক কারণেও গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ঐ এলাকায় ১৯৩০ সালের ইতিহাস-প্রসিদ্ধ চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহীরা অর্থসংগ্রহের জন্য অভিযান চালিয়েছিলেন, তদুপরি সিআরবি ভবনটি দেশের ব্রিটিশ বা কলোনিয়াল স্থাপত্যের বিলীয়মান নিদর্শনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি। এটি স্থাপত্যকলা ও ইতিহাসের ছাত্র-শিক্ষকের শিক্ষা ও গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এসব বিবেচনা থেকেই এলাকাটিকে বাংলাদেশ সরকার সংবিধানের ২য় ভাগের ২৪ ধারা অনুযায়ী ঐতিহ্য ভবন ও সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে।