জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করবে সিআইডি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলাটির তদন্তভার পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংস্থাটির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে তিনি জানান, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন এই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে তদন্ত দল।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জায়েদুল আলম জানিয়েছিলেন, পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত নির্দেশে আগামীকালের (আজ শুক্রবার) মধ্যে আগুনে পোড়া হত্যা মামলার কাগজপত্র, জব্দ করা আলামত জেলা পুলিশের কাছ থেকে সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মামলাটিকে সেনসেটিভ (সংবেদনশীল) উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছিলেন, এখানে সময় নিয়ে গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে হবে। যেসব আলামত জব্দ করা হয়েছে সেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া সিআইডির কাছে আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ইক্যুইপমেন্ট (সরঞ্জাম) রয়েছে। জেলা পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। এ কারণেই মামলাটি নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় গত ৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। কারখানার ছয়তলা ভবনটিতে তখন প্রায় ৪০০-এর বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ মোড়ক করার প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সব ফ্লোরে।

প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় কয়েকটি ফ্লোরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। সবমিলিয়ে, এ ঘটনায় ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিস, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে।