থুতনিতে মাস্ক রেখে সিগারেট খাওয়ায় ৫০০ টাকা জরিমানা

বেসরকারি একটি সিকিউরিটি কোম্পানির গাড়িচালক মিজানুর রহমান আসছিলেন ধানমন্ডির ২ নম্বর সড়ক দিয়ে। গাড়ি চালানো অবস্থায় খাচ্ছিলেন সিগারেট, আর  থুতনিতে ঝুলছিল মাস্ক। তার সঙ্গে পাশে বসা সিকিউরিটি কোম্পানির গানম্যানের মাস্কও ছিল নাকের নিচে। চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা গাড়িটি থামান। এ সময় জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মিজানকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন এবং অনাদায়ে সাত দিনের কারাবাসের শাস্তি দেন। পরে তিনি ৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান। রবিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে  এমন ঘটনা দেখা যায়।

এ দিন দুপুরে ধানমন্ডি ২ নম্বর রোড দিয়ে মিরপুর রোডে প্রবেশ করার সময় সিটি কলেজের সামনে চেকপোস্টে আটকানো হয় সেই মাইক্রোবাসটি। পুলিশ দেখে সিগারেট ফেলে দেন গাড়িচালক মিজানুর রহমান। এসময় পুলিশ সদস্যরা জানতে চান, ‘থুতনিতে মাস্ক কেন?’ উত্তরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে বলতে থাকেন, ‘স্যরি স্যার’। তার সঙ্গে থাকা সিকিউরিটি কোম্পানির গানম্যানকে প্রশ্ন করলে তিনিও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। পুলিশ সদস্যরা তখন তাকে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা রহমানের সামনে নিয়ে যান। 

লকডাউন চলাকালে ধানমন্ডিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতমিজানুর রহমানকে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আপনি একে তো মাস্ক না পড়ে থুতনিতে রেখেছেন, তার ওপর আবার সিগারেট খাচ্ছেন। আপনাকে তো দ্বিগুণ জরিমানা করা দরকার।’   এরপর ফারজানা রহমান ম্যাজিস্ট্রেট ওই গাড়িচালককে ৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ করেন এবং অনাদায়ে সাত দিনের জেল দেন। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট গানম্যানকে জেরা করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন মিজানুরকে চেনেন না। 

পুলিশ সদস্যরা জরিমানার অর্থ পরিশোধ করার জন্য বললে মিজানুর জানান, তার কাছে টাকা নেই। এই ফাঁকে সেই গানম্যান উল্টোদিকে হেঁটে চলে যান। মিজানুর বলতে থাকেন, ‘১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে ৫০০ টাকা ক্যামনে দেবো।’ পুলিশ সদস্যরা তাকে বলেন, জরিমানা না দিলে হাজতে পাঠাতে হবে।  কিছু করার নাই ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ। তখন তিনি একজনকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত ঘটনা বলেন। কিছুক্ষণ পর তার কোম্পানির একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন। পুরো ঘটনা শুনে এবং গানম্যানের আচরণের কথা শুনে নিজের পকেট থেকে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিধিনিষেধ অমান্য করে যারা বের হচ্ছেন, অধিকাংশই অযৌক্তিক কারণে বের হচ্ছেন। তাদেরকে আমরা জরিমানা কিংবা শাস্তির আওতায় আনছি।’