গুলশান থানার পৃথক দুই মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীর আরও ৬ দিনের রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য পদ থেকে সম্প্রতি বহিষ্কৃত ‘বিতর্কিত’ নেতা হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক দুই মামলায় আরও ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসীর আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন গুলশান থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন।এরপর গুলশান থানার মাদক মামলায় ৫ দিন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আবারও ১০ দিন রিমান্ড চাওয়া হয়। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ৩ দিন ও মাদকের মামলায় ৩ দিন করে দুই মামলায় মোট ৬ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।এই নিয়ে আসামির মোট চার মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন দুই আদালত।

এর আগে একই দিনে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালতে পল্লবী থানার চাঁদাবাজি মামলা ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আসামির সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে দুই মামলায় ৪ দিন করে মোট ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শুক্রবার (৩০ জুলাই) গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত হেলেনা জাহাঙ্গীরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই রাতে গুলশানের নিজ বাসা থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। আটকের সময় তার বাসায় থেকে বিপুল পরিমাণ মদ ও ইয়াবা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ক্যাসিনো সরঞ্জাম, হরিণের চামড়াও পাওয়া গেছে তার বাসায়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ চারটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।