শিশুকে অপহরণ করে হত্যার পর মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ৩

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সাত বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে হত্যার পর মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ১৯ বছর, তার নাম হৃদয় হোসেন। অন্য দুজন ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী কিশোর।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিবিআই হেড কোয়ার্টার্সে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৮ আগস্ট মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার বেরুন্ডি গ্রামের শহিদুল ইসলামের শিশু পুত্র আল-আমিন সাইকেল নিয়ে খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজি করে ছেলেকে না পেয়ে শহিদুল ইসলাম পরের দিন (২৯ আগস্ট) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে মোবাইল ফোনে কল করে  তার কাছে মুক্তিপণও দাবি করা হয়। মুক্তিপণ দেওয়ার আগেই খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রতিবেশিরা সেই ভিটায় আল-আমিনের প্যান্ট ও মাটির উপরে মাছি উড়তে দেখেন। পরে সেখানে খুড়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কিশোর-তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে গ্রেফতারকৃতরা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য ‘যে কাউকে’ অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার পরিকল্পনা করে। তিন জন প্রথমে একই এলাকার জনৈক রূপমে ছেলে রোহান ও তোতা মিয়ার ছেলে রহমতের মধ্যে যে কোনও একজনকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। কিন্তু রহমতের বয়স বেশী হওয়ায় তাকে অপহরণের চিন্তা বাদ দেয়।

পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি হৃদয় হোসেন সাত বছর বয়সী শিশু আল-আমিনকে গত ২৮ আগস্ট বন্যার পানি দেখানোর কথা বলে কথিত সাপের ভিটায় নিয়ে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখে। পরে তার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।