সোহেল রানাকে ফেরতের বিষয়ে এখনও সাড়া দেয়নি ভারত

বিতর্কিত ই-কমার্স প্লাটফর্ম ই-অরেঞ্চের পৃষ্ঠপোষক ও বনানী থানার বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এখনও সাড়া দেয়নি ভারত।

ইন্টারপোলের সহযোগিতায়  সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) দু'দফা চিঠি দিয়েছে ভারতকে।  তবে ভারত থেকে এখনও সাড়া পাওয়া যায়নি।

গত সপ্তাহে ভারতের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) এই চিঠি দেয় পুলিশ সদর দফতর।

পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, "আমরা চিঠি দিয়েছি, প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে। তবে সেই চিঠির জবাব ভারত থেকে এখনও  আসেনি। তবে চিঠির জবাব দেওয়ার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তারপরও আমরা আরেকবার রিমাইন্ডার দিবো।"

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তের দায়িত্বে আছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ বিষয়ে ডিএমপি স্বরাষ্ট্র হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও চেষ্টা করতে পারে বলে মনে করেন এআইজি মহিউল।

উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট ই-অরেঞ্জের ১৬ জন গ্রাহকের পক্ষে মো. রাসেল নামে এক ব্যক্তি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।  মামলায় ৮৮ লাখ ৯৪ হাজার ৯১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা ছাড়াও ওই মামলায় সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, নাজনীন নাহার বিথি, আমান উল্লাহ, কাওসার, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নুরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খানকে আসামি করা হয়। মুখ্য মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়া গুলশান থানা পুলিশকে মামলাটি রেকর্ড করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন।

এরপর ২ সেপ্টেম্বর আরও একটি মামলা হয়। ওই মামলায় সোহেল রানাকে আসামি করা হয়। এর পরপরই আত্মগোপনে চলে যান সোহেল রানা।

৩ সেপ্টেম্বর ভোরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে তাকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ গ্রেফতার করে।  বর্তমানে ভারতে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন সোহেল রানা।

আরও পড়ুন: যেভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক পরিদর্শক সোহেল রানা