এই হাত ধরবেন না, পুলিশ সদস্যকে পরীমণি

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আদালত কক্ষের দিকে নিয়ে রওনা হন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় তার পাশে থাকা একজন নারী পুলিশ সদস্য আসামিদের যেভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সেভাবে পরীমণির হাত ধরার চেষ্টা করলে মুহূর্তে হাত সরিয়ে নিয়ে বলেন, ‘এই হাত ধরবেন না’। তারপর তিনি হাত ছাড়িয়ে নিয়ে আদালতের বারান্দায় প্রবেশ করেন। 

এর আগে রিমান্ডে ও কারাগারে থাকার সময় পরীমণিকে আদালতে আনা হলে প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ তাকে ঘিরে আদালত কক্ষে নিয়ে যেতেন। সে সময় একবার ভিড়ের ধাক্কায় পরীমণি রাস্তায় পড়েও যান। 

এদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে উপস্থিত হোন তিনি। 

পরীমণির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ পরীমণি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হবেন।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত ৫০ হাজার টাকার মুচলেকায় পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন।

ওইদিন পরীমণির পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান, নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী, কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ আরও অনেকে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন।

গত ১৯ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত পরীমণির একদিন, ১০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত দুই দিন এবং ৫ আগস্ট একই মামলায় পরীমণির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। তিন দফায় মোট পরীমণিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র‍্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র‍্যাব সদর দফতরে। পরে র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করে।