হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের গড়িমসির ব্যাখ্যা তলব

আদালতের আদেশ যথাসময়ে না পাঠানোয় হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে লিখিত আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারীর অ্যাডভোকেট সৈয়দ নাসরিন শুনানিতে ছিলেন।

এর আগে গত ১৪ জুন কক্সবাজার সদরের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী উত্তর মুহুরিপাড়ার প্রায় ৬০ একর জমি অবৈধভাবে দখল ও ভরাটের অভিযোগের বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ৬০ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ভরাট কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মুজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতের এই আদেশ কক্সবাজারের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে কমিউনিকেট করতে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে বলা হয়। কিন্তু হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার যথাসময়ে আদালতের আদেশ প্রেরণ না করায় হাইকোর্ট তাকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিলেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘কক্সবাজার অবৈধভাবে ভরাট হচ্ছে ৬০ একর ফসলি জমি, জমির মালিকরা অসহায়, প্রশাসন নীরব’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র-আসক। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কক্সবাজার সদরের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী উত্তর মুহুরিপাড়ার তিন ফসলি প্রায় ৬০ একর উর্বর জমি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। দুই কিলোমিটার দূরত্বে গড়ে ওঠা রেলস্টেশনকে কেন্দ্র করে বাণিজ্যিক চিন্তায় আবাসন প্রকল্প গড়তেই আইন উপেক্ষা করে রাত-দিনে এসব জমি ভরাট করছে ভূমিদস্যু চক্র।