স্ত্রী শিক্ষক হলেও স্বামীর পেশা ডাকাতি

ডাকাতি করে বনে গেছেন বিপুল সম্পত্তির মালিক। এ ছাড়া সামাজিক মর্যাদায় তাদের বাস উঁচু শ্রেণীতে। তাদের একজনের স্ত্রী শিক্ষকতার পেশায়ও জড়িত। একটি ডাকাত চক্রকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত তিন জন হলো- জলিল মোল্লা, রিয়াজ ও দীপু। 

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই চক্রের তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার এসব কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলন।

একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ২৮ আগস্ট মতিঝিলে ৬০ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনার ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে ডাকাত চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও কয়েক জনকে ধরতে অভিযান চলছে। তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি অস্ত্র এবং ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির টাকা দিয়ে তারা এরইমধ্যে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে গেছে। জমি কিনতে গিয়ে প্রথমে তারা বায়না করতো। পরবর্তীতে ডাকাতির টাকা দিয়ে জমির মূল্য পরিশোধ করতো। গ্রেপ্তারকৃত জলিল মোল্লার বিরুদ্ধে চারটি ডাকাতির মামলা এবং রিয়াজ ও দীপুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

তিনি বলেন, তারা মূলত শনিবারকে কেন্দ্র করে ডাকাতির পরিকল্পনা করতো। সিসিটিভি অ্যাভয়েড করে এবং ডাকাতির পর দ্রুত সরে যেতে এই দিনটিকেই বেছে নিতো। 

উদ্ধারকৃত সামগ্রী।

হাফিজ আক্তার বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ডাকাতির মাধ্যমে অর্থ কিংবা লোকজনের সর্বস্ব লুট করে নেওয়ার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে নজরদারি রয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হবে। গ্রেফতারকৃত তিন জনই পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য। তাদের কাছ থেকে যে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটির দাম ১২ লাখ টাকা। এ ধরনের অস্ত্র তারা কোথায় পেয়েছে এবং এর পেছনে ইন্দনদাতা কারা- এ বিষয়গুলো খোঁজা হচ্ছে।