ক্লিন ফিড ইস্যু: দেশি কনটেন্টকে ‘নিম্নমানের’ বলায় পাল্টা নোটিস

বিদেশি চ্যা‌নেল পুনরায় চালু এবং ক্লিন‌ ফিড ইস্যুতে গত ৩ অক্টোবর দেওয়া এক নোটিসের বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাইতে নোটিসদাতাকে পাল্টা আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) চলচ্চিত্রকার মোস্তফা মননের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব এ নোটিস প্রেরণ করেন।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর বিদেশি চ্যা‌নেল পুনরায় চালু এবং ক্লিন‌ ফিড ইস্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়‌কে একটি আইনি নোটিস পাঠানো হয়। এছাড়াও ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) এর সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এসএম সামসুর রহমান শিমুলকেও ওই নোটিস পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এ নোটিস প্রেরণ করেন।

নোটিসটির একটি অংশে বলা হয়েছিলো, ‘বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানের মান অত্যন্ত নিম্ন। ফলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশি চ্যানেলগুলোতে বিনোদন নিয়ে থাকে। কিন্তু এই নোটিসের গ্রহীতাদের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে শিশুরা কার্টুন, মহিলারা রান্না ও সিরিয়াল এবং পুরুষরা সংবাদ, খেলা ও রিয়েলিটি শো দেখতে না পারছেন না বলে তারা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। যা প্রচলিত আইনের পরিপন্থী।’

নোটিসের ওই অংশে দেশি কনটেন্টকে অত্যন্ত নিম্নমানের উল্লেখ করায় দেশের সংস্কৃতি অঙ্গণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে পাল্টা নোটিস দিয়েছেন চলচ্চিত্রকার মোস্তফা মনন।

তাই মোস্তফা মনন তার নোটিস পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে গত ৩ অক্টোবরের নোটিসের বক্তব্য প্রত্যাহার ও এ বিষয়ে নোটিদাতাকে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।