ইভ্যালি ইস্যুতে বিচারপতি মানিককে ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নিয়ে অসত্য ও মিথ্যা বক্তব্য দেওয়া হয়েছে দাবি করে সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও ইভ্যালির বর্তমান চেয়ারম্যান এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (৩১ অক্টোবর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেলের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহসান হাবিব এ নোটিশ প্রেরণ করেন।

আদালত কর্তৃক গঠিত ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গত ২৬ অক্টোবর বলেছিলেন, মোহাম্মদ রাসেল হাজার কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার করেছেন। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তার স্ত্রী তথা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও শ্যালিকা সাবরিনা নাসরিন। তবে টাকার সুনির্দিষ্ট পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা যায়নি। ইভ্যালির বর্তমান অবস্থা, দায়-দেনা, সম্পদের পরিমাণ নিরীক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে ১৫ দিনের মধ্যে তা নিরীক্ষকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

তার ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নোটিশে বলা হয়েছে, ‘হাইকোর্ট যে আস্থা নিয়ে ইভ্যালির দায়িত্ব আপনার ওপর অর্পণ করেছিলেন আপনি স্পষ্টতই সেই আস্থা ও বিশ্বাসের স্থানকে অবমূল্যায়ন করেছেন। এখতিয়ার বহির্ভূত অসত্য, মনগড়া, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করে চলেছেন। সর্বোচ্চ আদালতের একজন সাবেক বিচারপতি হিসেবে আপনার ওপর জনমানুষের প্রত্যাশাও ব্যাপক বলে মনে করা হয়। আপনার এই ধরনের অসত্য, মনগড়া, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। আপনার বিরুদ্ধে দেশের আপামর জনতা আন্দোলন করেছে এবং করছে।’

নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ইভ্যালি, ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে অসত্য, ভিত্তিহীন, মনগড়া, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইভাবে এসব মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে লিখিত নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাও করতে বলা হয়েছে। না হলে বাংলাদেশের আইন অনুসারে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয়ভাবেই যথোপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।