ধর্ষণের মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের মামুন কারাগারে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালত এ আদেশ দেন।

আসামি মামুন আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে তার আইনজীবী জুবায়ের আহমেদের মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন কারাগারে যাওয়ার আগে হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমাকে এই মামলায় পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হয়েছে। এই বাদীর সঙ্গে মূলত কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি। এই মামলার মাস্টারমাইন্ড সোহাগ এবং মামলার বাদী।’

এর আগে ১৭ জুন ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন মোল্লা হাসান আল মামুনকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। অপরদিকে, অন্য আসামিদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।0

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় এ মামলাটি করেন।