বাংলা ট্রিবিউনে প্রতিবেদন প্রকাশ

অবৈধ পদোন্নতি বন্ধে ব্যবস্থা নিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর

বিধিবহির্ভূত ও অবৈধ উপায়ে পদোন্নতি ও বদলি বাণিজ্যের বিরুদ্ধে বাংলা ট্রিবিউনে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। যেসব পদে পদোন্নতির কোনও সুযোগ নেই, সেগুলোর ফাইল যেন সদর দফতরে পাঠানো না হয় সেই আদেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি অভ্যন্তরীণ পরিপত্র জারি করা হয়।

পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, “সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও কার্যালয় স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন পদের কর্মচারীদের বিধিবহির্ভূতভাবে পদবী পরিবর্তন করে ‘নিজ বেতনে’, ‘সাময়িকভাবে’ বা ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে পদায়ন করা হচ্ছে, যা নিয়োগ বিধি পরিপন্থী। ফলে মাঠপর্যায়ে স্বাভাবিক কার্যাবলী ব্যাহত হচ্ছে।”

অধিদফতরের পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে– ‘নিজ বেতনে,’ ‘সাময়িকভাবে’ বা ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে এরকম আদেশ জারি/পদায়ন/ ন্যাস্ত করার কোনও অবকাশ নেই।’

এছাড়া পরিপত্রে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন কার্যালয় বা মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীরা কেউ বিধিবহির্ভূতভাবে পদবী পরিবর্তন করে ‘নিজ বেতনে’, ‘সাময়িকভাবে’ বা ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে পদায়নের জন্য আবেদন করলে এসব আবেদনপত্র স্বাস্থ্য অধিদফতরে না পাঠাতে অনুরোধ করা হলো।”

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলা ট্রিবিউনে ‘অবৈধ পদোন্নতির হিড়িক স্বাস্থ্য অধিদফতরে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনের পর তৎকালীন পরিচালক (প্রশাসন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মো. হাসান ইমামকে বদলি করা হয়। হাসান ইমামের ব্যক্তিগত সহকারি (পিএ) এরশাদকেও সরানো হয়েছে। এরশাদের বিরুদ্ধে অবৈধ পদোন্নতিতে সহযোগিতা করার অভিযোগ ছিল। এরপর ১৮ নভেম্বর এসব অবৈধ পদোন্নতি বন্ধ করতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ব্যবস্থা গ্রহণ করলো।

আরও পড়ুন:

অবৈধ পদোন্নতির হিড়িক স্বাস্থ্য অধিদফতরে