পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলার বিচার শুরু

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এরই মধ্য দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ ডিসেম্বর মামমলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ৬ অক্টোবর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বদলির আদেশ দেন আদালত।

এর আগে, গত বছরের ৪ আগস্ট দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার সম্পদ তাদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ বলে প্রতীয়মান হওয়ায় এবং জ্ঞাতসারে অপরাধলব্ধ আয়ের দ্বারা অর্জিত উক্ত পরিমাণ জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ তাদের ভোগ দখলে রেখে অভিযুক্ত শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ’২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।