প্রশ্নপত্র ফাঁস: বুয়েট শিক্ষক ও তার স্ত্রী-সন্তানের ব্যাংক হিসাব তলব

রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অভিযুক্ত শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধর এবং তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সম্প্রতি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, নিখিল রঞ্জন ধর, তার স্ত্রী অনুরূপা ধর, সন্তান দেবী ধর ও ভাস্কর ধরের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠাতে হবে।

এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্তে নাম উঠে আসে বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরের। পরে বিভাগটির প্রধানের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বিএফআইইউ ব্যাংকগুলোকে বলেছে, এই ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব খোলার পর যত লেনদেন হয়েছে, কোনও সঞ্চয়পত্র বা ক্রেডিট কার্ড আছে কিনা, বৈদেশিক মুদ্রার কোনও হিসাব আছে কিনা ইত্যাদি তথ্য পাঠাতে হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় গত ৬ নভেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রাথমিক পরীক্ষা হয়। এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে এই পরীক্ষায় এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন অংশ নেন।

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠার পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তে নামে। তদন্তে বেরিয়ে আসে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করার পর আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বুয়েটের শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধরের নাম আসে। এরপর তদন্তে নিখিল রঞ্জন ধরের ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পান গোয়েন্দারা।