রায় দ্রুত কার্যকর চায় বুয়েট

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় হয়েছে আজ (৮ ডিসেম্বর)। এ মামলার ২৫ আসামির ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। এখন তাদের চাওয়া স্বল্প সময়ের মধ্যে রায় কার্যকর করা হোক। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সাজাপ্রাপ্ত ৩ পলাতক আসামি এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুজতবা রাফিদ ও মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসানকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং দুপুর সোয়া দুইটায় বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করেন।

রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দুপুর দেড়টায় নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন,  ‘প্রতিক্ষিত রায় আজকে আমরা পেয়েছি। আবরার হত্যার বিচার অতি অল্প সময়ে হয়েছে। আরও কম সময়ে হতো যদি করোনা পরিস্থিতি না থাকতো। আমার মনে হয়, বিচার বিভাগ সঠিকভাবে বিচার করেছেন এবং তাদের প্রজ্ঞা ও আইন অনুযায়ী বিচার করেছেন। তার জন্য তাদের ওপর আমাদের আস্থা রাখা উচিত।’

উপাচার্য বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের এটাই মনে রাখতে হবে, যদি কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়, তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে। আমাদের সবাই আশা করে রায় সল্প সময়ে কার্যকর হবে। আবরারের পরিবারের প্রতি আমরা সর্বোচ্চ সহমর্মিতা দেখিয়েছি, সাহায্য-সহযোগিতা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।’

কী ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা করেছি।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বুয়েট উপাচার্যতিনি আরও বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার ঘোষণা আমরা দিয়েছি। অনেক দেশেই ছাত্র রাজনীতি আছে এবং এই ছাত্র রাজনীতি থেকেই আমার মনে হয় দেশাত্মবোধটা জেগে ওটে। সেখানে যদি কেউ অপরাজনীতির দিকে ধাবিত করা হয়, সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগ দেখবে।’

এর আগে সাবেকুন নাহার সনির মৃত্যুর পরও বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় এবং পরে আবারও চালু হয়। এরপর আবারও রাজনীতি চালু হতে পার কিনা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা এখন নিষিদ্ধ করেছি, তা নিষিদ্ধ আছে, ভবিষ্যতের কথা বলতে পারি না।’

শহীদ মিনারে বুয়েট শিক্ষার্থীরা লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বলেন, ‘আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলাম। একইসঙ্গে আদালতের প্রতি আস্থাশীল ছিলাম। আমরা মনে করি, এই রায়ের মাধ্যমে সবার আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন...

আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৫

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ আবরারের বাবার, দ্রুত কার্যকরের দাবি

শিবির সন্দেহে গুজব ছড়িয়ে আবরারকে হত্যা করা হয়: আদালত

রায় পড়ার সময় নির্বিকার ছিলেন আসামিরা

‘বাবা মনোবল শক্ত রাখো, তোমাদের কিছুই হবে না’