মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কোনও কাজ হয়নি: র‌্যাব

বর্তমান ও সাবেক ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে র‌্যাব। সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল কে এম আজাদ বলেছেন, `মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কোনও কাজ করা হয়নি‘।
 
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, `আমরা সব সময় মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাই। আমরা মানবাধিকার রক্ষার কাজ করি, কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কোনও কাজ করা হয়নি।‘

কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, যারা দেশে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, মাদক ব্যবসা এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটিয়ে চলছে; তাদের আমরা আইনের আওতায় আনছি। অভিযান চলাকালে কোনও অপরাধী যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে বন্দুক তাক করে, তখন বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এছাড়া এর মধ্যে আর কোনও বিষয় নেই।

এ দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ ইচ্ছে করে ক্রসফায়ার কিংবা গুলি করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে বন্দুকযুদ্ধের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সবগুলোরই একটি জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি হয়। যে ঘটনা ঘটলো তার পেছনে যথাযথ কারণ ছিল কিনা, নাকি গাফিলতি ছিল। কোথাও গাফিলতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

প্রসঙ্গত, বর্তমান পুলিশ প্রধান (আইজিপি) ও র‌্যাব-এর সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ সংস্থাটির ছয় কর্মকর্তা ও র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা তালিকায় এ তথ্য দেখা গেছে। মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলছে, বাংলাদেশ সরকারের মাদকবিরোধী যুদ্ধে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়ে মার্কিন স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে র‌্যাব।