মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) বিরুদ্ধে র্যাবের গোয়েন্দা তথ্য অব্যাহত আছে, কোনও প্রকার তথ্য পেলেই অভিযান চালানো হচ্ছে। এই তথ্য জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। এই কর্মকর্তা বলেন, আপনারা জানেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটা আতঙ্কের নাম আরসা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই আরসা গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে হত্যাকাণ্ড, অপহরণসহ নানান অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এর আগে আমরা নানা ধরনের অভিযান পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত ১১০ জন আরসা সদস্যকে গ্রেফতার করেছি এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করেছি।
তিনি আরও বলেন, র্যাবের অব্যাহত নজরদারি, গোয়েন্দা তাৎপরতা, অভিযানের ফলে আরসা নেতৃত্বশূন্য হয়ে যায়। পাশের দেশ থেকে অস্ত্র আসছে এমন গোয়েন্দা তথ্য থেকে আমরা গতকাল অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেছি। আরসার এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নিষ্ক্রিয় রাখতে আমরা স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছি। আমরা তাদের ট্র্যাকিং করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা যখনই কোনও তথ্য পাচ্ছি অভিযান চালাচ্ছি।
গত বুধবার ভোর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার গহীন পাহাড়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধার করেছে র্যাব। এ অভিযানের সময় আরসা কথিত কমান্ডার মাস্টার সলিমুল্লাহ (৩৮) এবং তার সহযোগী মো. রিয়াজকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজনই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক।
আরও পড়ুন- পাহাড় থেকে আরসা কমান্ডার গ্রেফতার, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার