আবুল বাশারের ছেলে রিফাত অভিযোগ করে বলেন, শনিবার ভোরে এক ব্যক্তিকে আটক করতে তাদের বাড়িতে আসে পুলিশ। এসময় পুলিশের এক সোর্স তাদের টিনের চালের ওপর উঠলে তার বাবা টের পেয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করেন। পরে দরজা খুলে তিনি পুলিশ দেখতে পান। এসময় দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় এবং ডাকাত বলে চিৎকার করায় আবুল বাশারকে বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করে পুলিশ সদস্যরা। পরে সকালে তাকে খালি গায়ে কদমতলি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আমাদের আত্মীয় স্বজনরা তাকে ছাড়িয়ে আনে এবং তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
বিষয়টি নিয়ে কদমতলী থানার ওসি ওয়াজেদ আলী মিয়া জানান, কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেন। পরে আমরা জানতে পারি মেয়েটিকে মাতুয়াইলের পূর্ব গোবিন্দপুরের ওই বাসাতে রাখা হয়েছে। তাই যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বাড়িটিতে অভিযান চালাতে যাই। কিন্তু গেট খোলার অনুরোধ করলে বাড়ির মালিক আবুল বাসার চিৎকার চেঁচামেচি করেন। এতে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী পালিয়ে যায়। পরে আমরা ওই বাসা থেকে অপহরণ হওয়া মেয়েটিকে উদ্ধার করি। তাই পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং টানা-হ্যাচড়া করে পুলিশের ইউনিফর্ম ছিড়ে ফেলার অভিযোগে আবুল বাশারকে সকালে থানায় নিয়ে আসা হয়। সকালে তার এক আত্মীয় মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। মারধরের বিষয়ে আবুল বাসার থানায় কোনও অভিযোগ করেননি। পরে ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে তিনি কারও বুদ্ধিতে এই মারধরের গল্প বানিয়েছেন।
এসময় ওসি থানায় উপস্থিত আবুল বাসারের আত্মীয় ডলি বেগমের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন।
ঘটনা সম্পর্কে ডলি বেগম জানান, আবুল বাসার সম্পর্কে তার মেয়ের শ্বশুর। তিনি একসময় সেনাবাহিনীতে সার্জেন্ট পদে ছিলেন। তিনি একটু উগ্র মেজাজের। তিনিই হয়তো পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছিলেন। পুলিশ তাকে মারধর করেনি।
/এআরআর/এসএম/ এএইচ/