পল্লবীতে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাঝুলন্ত-লাশজধানীর পল্লবীর একটি বাসা থেকে মিলা আক্তার (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্লবী থানার ১১ নম্বর সেকশনের ই-ব্লকের ১৩ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্যা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পল্লবী থানার এসআই লোকমান হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,  লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের সদস্যরাও তাই বলেছেন। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মামা সজীব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মিলা স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে মিলার মা শিল্পী খাতুন তাকে বাসায় পড়তে দেখে একটি এনজিওর কিস্তির টাকা দিতে বাইরে যান। তিনি বাসায় ফিরে দেখেন, মিলা যে কক্ষে থাকতেন, সে কক্ষের দরজা ভেতর থেকে লাগানো। মিলার কোনও সাড়াশব্দ নেই। এরপর মিলার মা এবং তার বোনের ছেলে লিটন দরজা ভেঙে মিলাকে বাসার স্লিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তারা তাকে দ্রুত নামিয়ে আনেন। এরপর পুলিশ এসে তার লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেছে।
মিলার মামা আরও জানান, নিহত মিলার বাবার নাম রফিক মোল্লা। তিন ভাইবোনের মধ্যে মিলা সবার বড়। অন্য দুভাই সামিন ও আমিন খুবই ছোট। বাড়িটি তাদের নিজেদের। বাড়ির দ্বিতীয় তলায় তিনটি কক্ষ রয়েছে। একটিতে মিলার বাবা-মা ছোট দুই ভাই এবং একটিতে মিলা থাকতেন। অন্য কক্ষটি তালা মারা থাকত। অতিথি এলে তারা সেখানে থাকতেন। মিলা তার নিজের কক্ষেই আত্মহত্যা করেছেন। 

কী কারণে মিলা আত্মহত্যা করতে পারেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরাও বুঝতে পারছি না তিনি কেন আত্মহত্যা করেছেন? বাসায় কোনও কিছুই হয়নি আজ। কাউকে কোনও কিছু কখনও বলেননি মিলা। আমরাও বুঝতে পারছি না।

নিহত মিলার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন এসআই লোকমান হোসেন। তিনি জানান, মিলার গলায় কালো দাগ রয়েছে। এছাড়া আর কোনও কিছু পাওয়া যায়নি। যে ওড়না দিয়ে তিনি ঝুলে পড়েছিলেন, সেই হলুদ রঙের ওড়নাটি উদ্ধার করা হয়েছে।

/এমআর/এআরআর/এমএনএইচ/