এফবিআইয়ের সঙ্গে সিআইডির বৈঠক রবিবার

সিআইডি-এফবিআইবাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনা তদন্তে এফবিআইয়ের সঙ্গে সিআইডিয়ের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকটি হচ্ছে না শুক্রবার। আগামী রবিবার এ বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির কর্মকর্তারা। এরআগে বৃহস্পতিবার সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, শুক্রবার দুপুরে এফবিআইয়ের ঢাকা অফিসের প্রধান কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল্লা হেল বাকি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগশেনের (এফবিআই) কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না। তারা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির বিষয়ে তারা সিআইডির সঙ্গে আলোচনা করবেন। শুক্রবার জানিয়েছেন তারা রবিবার তাদের সঙ্গে বসতে চান। রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনা তদন্তে সিআইডিকে সহায়তা দিতে চায় এফবিআই।

সিআইডির কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হেল বাকি আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা কথা বলছেন। জব্দ করা কম্পিউটারগুলো থেকে তথ্য কপি করা হচ্ছে। টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত বিদেশি অপরাধীদের তথ্য চেয়ে ইন্টারপোলের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

আবদুল্লা হেল বাকি জানান, তদন্তে সংশ্লিষ্ট সিআইডির কর্মকর্তারা সবসময় বাংলাদেশ ব্যাংকে কাজ করছেন।   শুক্রবারও তারা সেখানে তদন্ত কাজ চালাচ্ছেন বলে জানান। তবে, এদিন কী কী তথ্য পাওয়া গেছে, সেটা জানাননি তিনি। সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড. আতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না, সেটা বলা হয়নি। তবে তদন্তের প্রয়োজনে যাকে প্রয়োজন হবে, তাকেই  জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির ঘটনায় গত ১৫ মার্চ ব্যাংকের যুগ্ম-পরিচালক যুবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ সব ঘটনার পর গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন। দুজন ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম ও নাজনীন সুলতানাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে সরকার গভর্নও হিসেবে সাবেক সিনিয়র সচিব ফজলে কবিরকে নিয়োগ দেয় সরকার।

/জেইউ/এমএনএইচ/