ছাদ থেকে পড়ে ওমান ফেরত ব্যক্তির মৃত্যু!

লাশ উদ্ধাররাজধানীর বংশালের সুরিটোলা এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে পড়ে শাহাদাৎ হোসেন (৩৫) নামে ওমান ফেরত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে, তিনি কিভাবে ভবন থেকে পড়ে গেলেন, সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা সন্তোষজনক কোনও কিছু জানাতে পারেননি। ঢাকা মেডিক্যাল কজেল (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে সুরিটোলার তিনি ভবন থেকে পড়ে যান। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসার পরকর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মোজাম্মেল হক  জানান, বংশাল থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিভাবে তিনি পড়ে গেলেন, তা থানা পুলিশ খতিয়ে দেখবে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, নিহত শাহাদাৎ হোসেন ওমানে ছিলেন। দেড়মাস আগে তিনি বাড়িতে আসেন। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের বসিকপুর এলাকায়। দেশে এসে কিছুদিন আগে পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর নাম পপি আক্তার (২৪)। স্ত্রীর ভাই রিয়াজ হোসেন বংশালে ব্যবসা করেন। সুরিটোলায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। ওই বাসায় পপি ও শাহাদাৎ গতকাল বেড়াতে আসেন। আসার একদিন পর তিনি বাসাটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হলেন।

নিহতের স্ত্রীর ভাই রিয়াজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দুই সপ্তাহ আগে শাহাদাতের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়েছে। গতকাল বোন ও বোনজামাই আমার বাসায় বেড়াতে আসেন। রবিবার দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা সবাই বিশ্রামে ছিলাম। আমার বোন ও শাহাদাৎ অন্য একটি কক্ষে বিশ্রামে ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হঠাৎ একটি শব্দ শুনি। এরপর বাসার নিচে শাহাদাৎকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কিভাবে তিনি পড়ে গেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ফ্ল্যাটের দরজাটি খোলা ছিল। ছাদের দরজাও খোলা। ধারণা করছি, তিনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন। তবে আমরা কেউ দেখিনি। আমার বোন জানিয়েছে, সে টয়লেটে ছিল। টয়লেট থেকে এসে তাকে কক্ষের ভেতরে পায়নি। শাহাদাৎকে চিকিৎসা করানোরও কথা ছিল বলে জানান রিয়াজ।

/এমআর/এআরআর/ এমএনএইচ/