ড্যান্ডি ডায়িং মামলায় খালেদার সাক্ষ্য ১৭ এপ্রিল

খালেদাড্যান্ডি ডায়িং ঋণখেলাপি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৬ বিবাদীর বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ১৭ এপ্রিল। বিবাদীপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করেন ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস।
মামলার বাদী সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম রোববার আংশিক সাক্ষ্য দেন। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম। এ সময় বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান আদালতে হাজির ছিলেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৬ বিবাদীর বিরুদ্ধে ইস্যু গঠন করেন আদালত। সোনালী ব্যাংকের দায়ের করা ৪৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের এ মামলার বিবাদী ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। তিনি মারা যাওয়ায় খেলাপি ঋণ দেওয়ানি কর্মবিধি আইনের ২২নং আদেশের নিয়ম ৪ অনুসারে তার সম্পদের ওয়ারিশ হিসেবে তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভুক্ত করেছেন আদালত। কোনো ছেলে না থাকায় বড় ভাই তারেক রহমানও কোকোর সম্পদের ওয়ারিশ। তবে তারেক এ মামলায় আগে থেকেই বিবাদী।
মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেডের প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান। মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

টিএইচ/এমও/এজে/