কাঙাল হরিনাথের স্মৃতিবিজরিত একদিন...

‘যদি ডাকার মত পারিতাম ডাকতে

তবে কি মা এমন করে

তুমি লুকিয়ে থাকতে পারতে’

গানটি একসময় বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে শোনা যেত। গানের রচয়িতা ফিকির চাঁদের কথা আমরা কয়জন জানি? ফিকির চাঁদ কিন্তু তার আসল নাম নয়, ছদ্মনাম। হরিনাথ মজুমদার তার নাম। কাঙাল হরিনাথ নামে তিনি অধিক পরিচিত। হরিনাথ মজুমদার ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অগ্রজ সমকালিক। হলে কি হবে হরিনাথ মজুমদারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। কথিত আছে, সম্পর্ক এতটাই অবনতি হয়েছিল যে কবিগুরু হরিনাথ মজুমদারকে তার কুঠিবাড়িতে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী পাঠিয়েছিলেন। সুফি বাউল লালন শাহ সে সময় লাঠিয়াল বাহিনী প্রতিহত করে শিষ্য হরিনাথ মজুমদারকে নিরাপদ করেছিলেন। শুধু একবার নিরাপদ করে শান্ত হন নি। সাঁইজি দিনের পর দিন লোকজন নিয়ে পাহাড়া দিতেন হরিনাথ মজুমদারের বাড়ি ও কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালির বিখ্যাত সেই প্রেসটি। আমার এবারকার গন্তব্য হরিনাথ মজুমদার ওরফে কাঙাল হরিনাথ বা বাউল সাধক ফিকির চাঁদের স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার কুমারখালি।

হরিনাথ কমপ্লেক্স

স্থপতি আসিফুর রহমান ভূঁইয়ার নকশায় কুমারখালিতে হরিনাথ মজুমদারের বাড়ির পাশেই নির্মিত হচ্ছে কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি কমপ্লেক্স। কমপ্লেক্সের কাজের অগ্রগতিসহ কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আসিফুর রহমান কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি যাওয়ার পরিকল্পনা করে আমাদের কয়েকজনকে সঙ্গে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন। এক সকালে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লাম। ঢাকা ছেড়ে কুষ্টিয়া হয়ে কুমারখালি পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। সেই সন্ধ্যারাতেই চলে গেলাম কাঙাল হরিনাথ কমপ্লেক্স। নির্মাণ পর্যায়ে হরিনাথ কমপ্লেক্স নিয়ে ঝাড়া এক বক্তৃতা দিয়ে ফেললেন আসিফ। সে রাতে হরিনাথ কমপ্লেক্স চত্বর চোখ বুলিয়ে চলে আসি হরিনাথ মজুমদারের বাস্তুভিটায়। মোটামুটি খুব অল্প এলাকা নিয়ে হরিনাথ মজুমদারের বাড়িটি। সন্ধ্যা শেষে রাতের আগমনের বেদনার সঙ্গে সে রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া আমাদের জন্য আরো গভীর বেদনা হয়ে আসে। আসিফুর রহমান তারপরও কিভাবে যেন চার্জ লাইটের ব্যবস্থা করলেন। চার্জ লাইটের সে আলোতেই আমরা হরিনাথ মজুমদারের বাড়ি ও প্রেস ঘুরে দেখলাম। সেই দেখাতে অনেক কিছুই অধরা ছিল, অতৃপ্তি ছিল। তারপর থেকেই সে অতৃপ্তি ঘোচানোর প্রানপণ চেষ্টা। কয়েকবার যাই যাই করে আর কুমারখালি যাওয়া হচ্ছিল না। শেষে একরাতে আবার কুষ্টিয়ার বাস ধরা, শুনুন সেই বৃত্তান্ত!

কাঙাল হরিনাথ নির্মিত স্কুল

এবারও সঙ্গী স্থপতি আসিফুর রহমান। রাতে আমরা বাসে চেপে রওনা দিলাম কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে। গল্প, আড্ডা আর ঘুমে ভোরবেলা কুষ্টিয়া পৌঁছে গণপূর্ত ভবনের বিশ্রামাগারে বিশ্রাম নিলাম। নাস্তা সেরে সকাল দশটায় বের হই। গড়াই সেতুর ওপর দিয়ে কুষ্টিয়া থেকে কুমারখালি পৌঁছতে সময় বেশি লাগল না। কুমারখালি হরিনাথ মজুমদারের বাড়ির পথে যেতে যেতে পেছনে ফেলি মীর মোশারফ হোসেন স্মৃতি কমপ্লেক্স, সাঁইজির মাজার ও শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। তারপর তো কুমারখালি হরিনাথ মজুমদার কমপ্লেক্স ও তার বাস্তুভিটার পথ, যায়গার নাম কুণ্ডুপাড়া । আমরা কুণ্ডুপাড়া যাওয়ার আগে শেরকান্দির পথ ধরি। এ পথের পুরোটাই অদ্ভুত মাদকতায় ভরা। এখানে কোনও সবুজ নেই, নদী নেই। তবু ভালোলাগা অফুরান। কারণ, শেরকান্দি এলাকায় প্রবেশ করেই অতীতের সঙ্গে মিতালি হল। পুরো এলাকা জুঁড়ে পুরনো দিনের গল্প। রাস্তা ঘরবাড়ি সবই ঠিক অতীত দিনের স্মৃতি বহন করে চলেছে। ঘরবাড়িগুলো দেখে কখনও শ্যামবাজার বা তাঁতিবাজার আবার কখনো নবাবগঞ্জ দোহারের কথাই মনে হচ্ছিলো। আমরা সেই সব অতীত সঙ্গে করে এগিয়ে চলি, এভাবেই এক সময় চলে আসি কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি কমপ্লেক্স। স্মৃতি কমপ্লেক্সের শেষ কাজটুকু চলছে। এ বছর উদ্বোধন করার ইচ্ছে মন্ত্রণালয়ের। বর্তমান সরকার যেসব কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু ও শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন কাঙাল হরিনাথ কমপ্লেক্স তার মধ্যে অন্যতম। আমি গাড়ি থেকে নেমেই এক চক্কর ঘুরে দেখে নেই কমপ্লেক্স চত্বর। অল্প জায়গায় চমৎকার গুছানো কাজ বা নকশাদার কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি কমপ্লেক্স সত্যি মনোমুগ্ধকর।

কাঙাল কুঠির

দোতলার সামনে হরিনাথ মজুমদারের পুরনো ভবনের মূল ফটকের আদলে নতুন ফটকটিই কমপ্লেক্স ভবনের মূল ডিজাইন। কমপ্লেক্স চত্বরে প্রবেশ করেই দেখা হবে উন্মুক্ত মঞ্চ, পাশেই বিক্রয়কেন্দ্র নির্মাণ বা শেষ ধাপের কাজ চলছে। বিক্রয়কেন্দ্রটি মজার বা ধারণাটাই নতুন। এখানে কেবল হরিনাথ মজুমদারের বই বা অনুসঙ্গ বিক্রয় হবে তা নয়। সংস্কৃতিকর্মীরা বিশেষ দিবসে বইসহ বিভিন্ন বিক্রয় আয়োজন নিয়ে বসতে পারবেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি বা কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের জন্ম বা মৃত্যুবার্ষিকীতে কাঙাল হরিনাথকে নিয়ে কিংবা নিজেদের বই ম্যাগাজিন ইত্যাদি বিক্রয় করতে পারবেন। দোতলায় কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের কাজ চলছে পুরোদমে। নিচতলায় সেমিনার হল। অল্প যায়গায় এমন গুছানো কাজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। প্রায় দুইঘন্টা প্রচণ্ড গরমে কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি কমপ্লেক্সে কাটিয়ে এবার পথ ধরি তার বাস্তুভিটায়। বেশি নয়, অল্প পথ পেরিয়েই পেয়ে যাই তার বাড়িটি।

এম এন প্রেস

কমপ্লেক্সের মত তার বাস্তুভিটা বিরাট এলাকা জুড়ে নয়। অল্প জায়গা নিয়ে বাস্তুভিটাটি চরম অবহেলায় পড়ে আছে। শুরুতেই চোখে পড়ে ২০০৯ সালে নির্মিত কাঙাল হরিনাথ জাদুঘর ও পাঠাগার ভবন। কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ এটির নির্মাতা। উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন সাংসদ বেগম সুলতানা তরুণ। ব্যস! ঐ পর্যন্তই। তারপর আর কোনও কিছুই এগোতে পারেনি। এরপরের গল্প ক্ষয়ে পড়া ও ধ্বংস হওয়ার। কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের মূল ভিটায় জেলাপরিষদ ভবন লেখা সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখা গেল। এ ভবনটিই কাঙাল কুটির নামে পরিচিত। যা পরবর্তিতে বিখ্যাত এম এন প্রেসে রূপ নেয়। আমরা এম এন প্রেসে প্রবেশ করি। চারদিকে আবর্জনার স্তুপ। প্রেসের কিছুই অক্ষত নেই। সবকিছু ছড়ানো ছিটানো।  তবে প্রেসটি দৃষ্টিনন্দন। প্রথম দেখাতেই চোখ জুড়ানোর মত। যার নির্মাণকাল ১৮৬৭ সাল। লন্ডনের ডিক্সন অ্যান্ড কোম্পানি এর নির্মাতা। প্রেসটির ওজন ৩০-৩৫ মন। তিন থেকে চারজন লোক প্রতিদিন ডাবল ক্রাউন সাইজের এই মেশিনটিতে ছাপা কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৫-১৬ বছর আগেও প্রেসটি সচল ছিল। দেয়ালে ঝুলে আছে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রেসে ছাপা হওয়া লিফলেট, পোস্টার ও বিভিন্ন পত্রিকার ফটোকপি। অনেকেই বলেন কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের মূল্যায়ন হলো না। আমি অবশ্য ভাবি অন্যভাবে! কাঙাল পরিবার কি আসলেও কাঙালকে মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন? যদি তাই হত তাহলে আজ কাঙাল কুঠিরের এমন বেহাল অবস্থা কেন?

এম এন প্রেস

একজন বাউল সাধক ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত কাঙাল হরিনাথ মজুমদার ১৮৩৩ সালের ২২ জুলাই কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালির কুণ্ডুপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা হরচন্দ্র মজুমদার, মায়ের নাম কমলীনি দেবী। বাবা-মাকে শৈশবে হারিয়ে দুঃখ-দুর্দশার মধ্যেই বেড়ে ওঠেন হরিনাথ। পাশাপাশি দেখেন এলাকাবাসির দুঃখ-দুর্দশা। এসব কিছু তাকে সংগ্রামি করে তোলে। এভাবেই তিনি নিঃস্ব গ্রামবাসীর হাতিয়ার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন। কাঙাল হরিনাথ মজুমদার একাধারে বাউল সাধক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং নারী জাগরণের অন্যতম দিকপাল হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৮৬৩ সালে তিনি কুমারখালিতে একটি মেয়েদের স্কুল নির্মাণ করেন। যার নাম কুমারখালি পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সে সময় স্কুলটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ১৮৭৩ সালে বন্ধু ও সহযোদ্ধা অক্ষয় মৈত্রেয়’র বাবা মথুরানাথ মৈত্রয়’র আর্থিক সহায়তায় কুমারখালিতে এম এন প্রেস গড়ে তোলেন। তার আগে ১৮৫৭ সালে হাতে লেখা প্রকাশনা গ্রাম্যবার্ত্তা দিয়ে কাঙাল হরিনাথের সাংবাদিকতার জীবন শুরু। গ্রাম্যবার্ত্তার মাধ্যমে কাঙাল হরিনাথ মজুমদার নীলকরদেরসহ সে সময় জমিদারদের অত্যাচার ও অনাচারের বাস্তবতা তুলে ধরেন। তাছাড়া নিজের সাধনা, দর্শন ও সাহিত্যচর্চা তো ছিলোই। সাত বছর পর ১৮৬৩ সালে কলকাতার গ্রিশচন্দ্রবিদ্যা প্রেস থেকে গ্রাম্যবার্ত্তা নিয়মিত প্রকাশ শুরু হয়। যার পূর্নাঙ্গ রূপ পায় ১৮৭৩ সালে এম এন প্রেস স্থাপিত হলে। এত আগের এমন একটি প্রেস অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে। কমপ্লেক্স চত্বর নির্মাণ হলে প্রেসটি সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে। অথচ যে বংশধররা এই প্রেসটি নিয়ে গর্ব অনুভব করেন তারাও প্রেসটির কোনও যত্ন করেছেন বলে মনে হলো না। দেড়শ বছর আগের একটি প্রেস। যা থেকে নিয়মিত পত্রিকা বের হত। মীর মশাররফ হোসেনের অমর সৃষ্টি বিষাদসিন্ধু কাঙাল হরিনাথের এম এন প্রেসেই ছাঁপা হয়েছিল। সাঁইজি লালন শাহসহ মশাররফ হোসেন ও জলধর সেনের হাতের স্পর্শ পড়েছিল।

কাঙাল হরিনাথের ব্যবহৃত খড়ম

হরিনাথ মজুমদার ওরফে ফিকির চাঁদ ১৮৮০ সালে কাঙাল ফকির চাঁদের দল নামে একটি বাউল গানের দল গঠন করেছিলেন। তার বাউল গানগুলো ফকির চাঁদের গান হিসেবেই পরিচিতি ও প্রসিদ্ধ লাভ করে বলে বিভিন্ন লেখা থেকে জানা যায়। তার গানের কথা ও সুরের সহজ ব্যবহারের জন্য জনপ্রিয়তা পেতে বেশি সময় লাগেনি। ফিকির চাঁদ নিজেই দলবল নিয়ে তার রচিত গান গেয়ে বেড়াতেন। তার সে গান শুনতে স্বয়ং লালন শাহ কাঙাল কুটিরে আসতেন। কাঙাল হরিনাথের আরেকটি উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে-

ওহে (হরি) দিন তো গেল, সন্ধ্যা হল, পার করো আমারে

তুমি পারের কর্তা, শুনে বার্তা, ডাকছি হে তোমারে।

ত্রিশূল

দিনে দিনে ফিকির চাঁদ ও কাঙাল কুঠিরের নাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। সে সব গল্প আমার এই এক লেখায় শেষ করা যাবে না। আমরা কাঙাল কুঠিরে বাউল সাধক ফিকির চাঁদকে পাই নাই কিন্তু কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের প্রেস পেলাম। যে প্রেস ঘরে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বোমা ফেলেছিল। সে সময় প্রেসটি অক্ষত থাকলেও প্রেসঘর বা কাঙাল কুঠিরের বেশ ক্ষতিসাধন হয়। আমরা কাঙাল কুঠিরে প্রবেশের পর পরই দেখা হয় তার পঞ্চম বংশধর স্বর্গীয় অশোক মজুমদারের ছোট ছেলে দেবাশীষ মজুমদার ও তার মা গীতা মজুমদারের সঙ্গে। দেবাশীষ মজুমদার নিজে প্রেস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এম এন প্রেস নামেই তিনি তার প্রেসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মূল এম এন প্রেসটির অবস্থা এমন বেহাল করে রাখলেন কেন এমন প্রশ্নের কোনও সঠিক জবাব দিতে পারলেন না তিনি বা তার মা। শুধু নিজেদের ভবিষ্যতের গড়ার বা সহায়তার আর্তি জানালেন।

গীতা মজুমদার

শেষকথা

কাঙাল হরিনাথের শেষ ইচ্ছে ছিল তাকে পুরোপুরি দাহ করা যেন না হয়। তার ইচ্ছে অনুযায়ী তার হাতের কনিষ্ঠা, মাথার খুলি আর বাম পায়ের বুড়ো আঙ্গুলসহ দাহ শেষে ছাইভস্ম তার নিজের পূজার ঘরে সমাহিত করা হয়। আমরা সেই পূজার ঘরে আসি। গীতা মজুমদার জানালেন দিনে তিনবার এখানে পূজা হয়। পূজার ঘরে কাঙাল হরিনাথের একটি বাঁধাই করা অস্পষ্ট ছবি দেখতে পেলাম। আরও রাখা আছে হরিনাথ মজুমদারের ব্যবহৃত খড়ম ও তার ত্রিশুল। হরিনাথ পরিবারের সর্বশেষ দাবি ছিল কমপ্লেক্স হলেও যেনও পূজার ঘরটি অক্ষত থাকে। তানা হলে কাঙাল হরিনাথের ভিটা দেখার উৎসাহ কারোরই থাকবে না। শুধু তাই নয় কমপ্লেক্সের পাশাপাশি কাঙাল কুঠির ও মন্দিরটি সংরক্ষণেরও দাবি জানান মজুমদার পরিবার।

পূজাঘর

ছবি: লেখক

/এনএ/