অন্দর সজ্জায় মোমের স্নিগ্ধতা

 

মোমের আলোয় সুরভিত

আধ ছায়ায় জ্বলছে মোম। তার পাশে রং-বেরঙের ক্রিস্টালের শোপিস। সঙ্গে মৃদু সুরে বাজছে কবি গুরুর গানের কলি। পরিবেশটা যেন মনোমুগ্ধকর! এক চিলতে মোমের আলো ঘরকে করেছে মায়াবী স্নিগ্ধতায় পরিপূর্ণ।

বর্তমানে মোমের আলো শুধু অন্ধকারই দূর করে না, এটা নান্দনিক মানুষের গৃহসজ্জার উপকরণ হিসেবে বড় স্থান দখল করে রেখেছে। আগের দিনের মানুষেরা মোমবাতি ব্যবহার করত লোডশেডিংয়ের সময়। তারা তাদের ভাবনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি যে এটা গৃহের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে নানা রঙের মোমবাতির দেখা মিলবে শৈল্পিক মানুষের ঘরে।এর ব্যবহারেও বৃদ্ধি পেয়েছে নান্দনিক বিভিন্ন মাত্রা।

ঘরের সৌন্দর্য মাধুরিতে আসলেই মোমের জুড়ি মেলা ভার। এর নিভু নিভু আলোতে আপন ঘরটি হয়ে ওঠে আলো আঁধারি।নানা আকৃতির এবং নানা রঙের কাচের বাটিতে জরি দিয়ে ভাসিয়ে দিতে পারেন পছন্দসই মোমবাতি এতে ঝিকমিকিয়ে উঠবে ঘরের সৌন্দর্য। আবার উৎসবের আমেজেও নতুন ভাষা সৃষ্টি করে মোমের আলো। খাবার সময় টেবিলের কোণে রাখা মোমবাতিটি জ্বালিয়ে নিন। ঘরের পরিবেশে ভিন্নতা চলে আসবে নিমিষেই। ঘর আলোকিত করার পাশাপাশি অন্দর সাজাতেও জুড়ি নেই বৈচিত্র্যময় মোমবাতির। মোমের শোপিস রাখতে পারেন বসার ঘরসহ যে কোনো ঘরেই।

মোম-ফুলের সন্ধি

দিনে দিনে মোমবাতির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রেতাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন  আকৃতির মোম তৈরি করা হয় বিভিন্ন নান্দনিক দোকানগুলোয়। সেখানে গিয়ে নিজের পছন্দমতো মোমবাতি নিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার স্বপ্নের ঘরটি। ঘরের কর্নার এবং সেন্টার টেবিলে ফুলের পানিতে সাজাতে পারেন এটা। এক্ষেত্রে ছোট ছোট মোম নির্বাচন করাই ভালো। আর অতিথি এলে চট জ্বালিয়ে নিতে পারেন।

তাহলে মুহূর্তেই ঘরের পরিবেশ বদলে যাবে, যেটা দেখে আপনার অতিথি মুগ্ধ হবে খুব সহজে। কেনার সময় ডিজাইনের দিকে খেয়াল রাখবেন কারন আপনার সাজানোর ধরনের ওপর নির্ভর করবে কোনটি আপনি বেছে নেবেন। বাজারে অনেক আকৃতির মোমবাতি পাওয়া যায় যেগুলোতে খুব সহজেই মনের মতো করে ঘর সাজাতে পারেন। চারকোনা, গোলাকার, লম্বাটে, চ্যাপ্টাসহ বিভিন্ন আকৃতির মোমবাতি। এ ছাড়া রয়েছে ফুল, পাতা, গ্লাস বাটি, চকোলেট, বল এবং গাছের গুঁড়ির শেপ। মোমবাতিগুলো আরো আকর্ষণীয় করতে ব্যবহার করা হয়েছে লাল, হলুদ, সবুজ রং। যেগুলো খুব সহজেই আপনার নজর কাড়বে।

সচরাচর আমরা মোমবাতিকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকোরেশন পিস হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। নকশা করা মোমবাতি শুধু জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নয়, যে কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠানে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। ফুল, পাতা, বল, গাছ, পিরামিড আকৃতির মোমবাতিগুলো আপনি শোকেসে সাজিয়েও ঘরের বৈচিত্র্য আনতে পারেন। ঘর সাজানোর উপকরণের সঙ্গে উপহার সামগ্রী হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে এসব নান্দনিক মোমবাতি।

সাদা মোম

মোমবাতি রঙের সঙ্গে মিলিয়ে একই সঙ্গে কিনে নিতে পারেন দৃষ্টিনন্দন মোমদানি। বাজারে পাওয়া যাবে কাঠ, মাটি এবং বিভিন্ন ধাতবের তৈরি মোমদানি। এই মোমদানিগুলোতেও রয়েছে নানারকম বৈচিত্র্য। এগুলোর কোনোটায় আবার একই সঙ্গে কয়েকটি মোম রাখা যায়। মোমবাতির হরেক রকম মেলা বসেছে আড়ংয়ে। যে কোনো আকৃতির মোমবাতি পেয়ে যাবেন সেখানে গেলে। এ ছাড়াও পাওয়া যাবে যাত্রা, পিরানসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজে। আকারভেদে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ১০-১০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন পছন্দসই মোমবাতি।

/এফএএন/