যত্নে থাকুক স্মৃতি

আমাদের সবার জীবনই ছোট বড় স্মৃতিতে সাজানো। চলে যাওয়া দিনগুলোকে একই সুতায় বেঁধে রাখতে চাইলে চমৎকার সব ফটো অ্যালবামে সাজিয়ে রাখুন ছবি।

যত্নে থাকুক স্মৃতি

সময়টা দিনকে দিন প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এখন আমরা খুব সহজেই ধরে রাখতে পারি আমাদের সময়গুলোকে। কোনও উৎসবমুখর সময়কে চাইলেই ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দী করা যায়। এখন তো ডিজিটাল ক্যামেরার যুগ। কমবেশি সবার কাছেই যেকোনও ধরনের ডিজিটাল ক্যামেরা থাকে। এটাতে কোনও রকম ঝামেলা ছাড়াই ছবি তোলা যায়। খুব ভালো মানের ছবি তুলতে চাইলে কিনতে পারেন ডিএসএলআর। পেশাদার আলোকচিত্রীরা এই ক্যামেরা ব্যবহার করেন।

পারিবারিক অ্যালবাম তৈরি করতে পারেন সুন্দর করে। যেখানে থাকবে কেবল পারিবারের সদস্যদের ছবি। বিয়ের ছবি দিয়ে তৈরি করতে পারেন বিয়ের অ্যালবাম। জীবনের এক একটি অনন্য গল্প সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে পারেন সুন্দর করে।

এই অ্যালবামের কারণে প্রিয়জনের মুখটা কখনো ঝাপসা হবে না! বাজারে এখন নানা রকম উন্নতমানের অ্যালবাম পাওয়া যায়। যেমন- নরমাল, পেস্টিং ছাড়াও আছে ডিজিটাল অ্যালবাম। ফটো ধারণ ক্ষমতার ওপর দামটা নির্ভর করে।

বাজারে পেস্টিং অ্যালবাম বেশ জনপ্রিয়। তবে ইদানিং ডিজিটাল অ্যালবামও আধুনিকতার উৎকর্ষে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। আপনার তোলা ছবিগুলোকে এলোমেলোভাবে না রেখে কয়েকটি ধাপে সুন্দর করে ডিজিটাল অ্যালবামে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এখন ডিজিটাল আ্যালবাম হাতের কাছেই পাওয়া যায়।

ক্যামেরায় বা মোবাইল ফোনে ভিডিও অপশন থাকলে ভিডিও করে ফেলতে পারেন নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে কাটানো ভালো লাগার সময়গুলো। পরে তা সিডি করে গিফট করতে পারেন প্রিয়জনদের। উৎসবটা সত্যিকারের আনন্দময় হয়ে উঠবে। পরিবারের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্যের হাসিমাখা মুখটি যদি ফ্রেমে বন্দী করে ঝুলিয়ে রাখা যায় অন্দরের প্রথম দেয়ালে, তাহলে সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর ঘরে ফিরে তার হাসিতে যেন মনটা ফুরফরে হয়ে যায় নিমিষেই।

বাজারে পেস্টিং অ্যালবাম ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। ডিজিটাল অ্যালবাম পাওয়া যাবে ৫ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকার মধ্যে।

 

/এনএ/