ফুলদানিতে ফুলেল গৃহকোণ

 

ফুলদানি

মনকে সতেজ স্নিগ্ধ রাখতে মনের মাধুরি মিশিয়ে প্রিয় ঘরটিকে আমরা ভালো লাগার পরিবেশ তৈরি করি। ভালোলাগা খুঁজে পেতে সবাই নজর দেই ঘরের সাজসজ্জার ওপর। ঘরের সাজের সব উপকরণ জুড়েই থাকা চাই স্নিগ্ধতার পরশ। ঘর সাজানোর সুন্দর স্নিগ্ধতা আনতে মনোরমা হয়ে ওঠে ফুলদানি।

ফুলদানি যেন শুধু শোপিসই নয়, কাজ করে ঘরের আসবাবের মতো। একগুচ্ছ টাটকা ফুলসহ একটি ফুলদানি ঘরের স্নিগ্ধতা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। একটি সাধারণ ঘরের কোণ বা টেবিলে নান্দনিক ফুলদানি রাখলে ঘরের পরিবেশটা হয়ে উঠবে অন্যরকম। ফুল ছাড়াও এর সৌন্দর্য কম নয় কোন অংশে। আমাদের ঘরের টেবিল, টিভির ওপর, কর্নার টেবিল, শোকেস, বেডসাইড যেখানেই ফুলদানি রাখা হোক না কেন এর সৌন্দর্যে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে ঘরটি। আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করা যেতে পারে বাঁশ, বেত, মাটির ফুলদানিগুলো।

চাইলে পছন্দমতো টাটকা ফুল বা আর্টিফিসিয়াল ফুল দিয়েও সাজানো যায় এটা। বর্তমানে বাজারে নানা রকম ফুলদানি পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর বৈচিত্র শুধু আকৃতি বা রঙে নয়, আমাদের দেশের বেশকিছু ফ্যাশন হাউস, হস্তশিল্প ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠান বৈচিত্র আনছে ফুলদানি তৈরিতে। এসব প্রতিষ্ঠান কাঁচ, মেটাল, সিরামিকের পাশাপাশি বাঁশ, বেত, প্লাস্টিক দিয়েও তৈরি করছে ব্যতিক্রমী ধাঁচের ফুলদানি। আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মিলে যায় এসব ফুলদানির নকশাগুলোতে।

ফুলেল ফুলদানি

বৈচিত্রময় ফুলদানি: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাহিদারও এসেছে বেশ পরিবর্তন। ফুলদানির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। একটা সময় শুধু মাঝারি আকারের চিকন ফুলদানি বেশি ব্যবহৃত হতো। কিন্তু বর্তমানে এর আকারে এসেছে বেশ ভিন্নতা। বাজারে হরেকরকম ডিজাইনের ফুলদানি পাওয়া যাচ্ছে। তিন কোনা, চার কোনা, গোলাকার, লম্বাটে, ডিম্বাকৃতি। মানুষ তার নিজ ঘরটিকে নান্দনিকভাবে সাজাতে যেখানে যেমন প্রয়োজন তেমন আকৃতির ফুলদানি ব্যবহার করছে। সেই সঙ্গে ঘর সাজাতে ঘরের আসবাবের রঙ,পর্দা ও ঘরের রঙের সঙ্গে মানানসই রঙের ফুলদানি ব্যবহার করা হচ্ছে।

noname

বহুমুখী ফুলদানি: কিছু কিছু ফুলদানি রয়েছে যেগুলো ফুলদানি হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি অন্য কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন: ফুলদানিতে ঘড়ি বসানোর ব্যবস্থা। এ ফুলদানিগুলো দেয়ালে ফুলসহ ঝুলিয়ে রাখা যায়। সেইসঙ্গে আমাদের ঘড়ির কাজটিও করবে সহজে। আবার কিছু কিছু ফুলদানির সঙ্গে রয়েছে টেবিল ল্যাম্প, ফুল রাখার স্ট্যান্ডের পাশাপাশি রয়েছে পেনহোল্ডারও। একের ভেতর দুই কাজের ফুলদানিগুলো একদিকে যেমন ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে অন্যদিকে জায়গাও কম লাগবে।

ক্রিস্টাল ফুলদানি

কোথায় পাবেন এবং দরদাম: বাজারে এখন দেশি ফুলদানি ছাড়াও চাইনিজ, জাপানিজ, থাই, ইরানি ও ইন্ডিয়ান ফুলদানি পাওয়া যাচ্ছে। মাটি, সিরামিক, ক্রিস্টাল, কাঁচ ও শক্ত প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এসব ফুলদানি কিনতে হলে আপনাকে যেতে হবে কার্জন হলের সামনে, আড়ং, নন্দন, যাত্রা, নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, রাপা প্লাজা, প্রিন্স প্লাজা, সানরাইজ প্লাজা, মাসকট প্লাজা ও উত্তরার নর্থ টাওয়ারসহ সব ধরনের ছোট-বড় গিফট শপে। দাম নির্ভর করবে ক্রেতার পছন্দ ও রুচির ওপর। মাটির ফুলদানিগুলো পাওয়া যাবে ১৫০ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে আর কাঁচের ফুলদানিগুলো পড়বে ৪০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। প্লাস্টিকের গুলো পাওয়া যাবে ১০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে। মেটালের তৈরি ফুলদানির দাম পড়বে ১০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা। ঘরটিকে প্রশান্তির পরিবেশ দিতে নান্দনিক ফুলদানির জুড়ি নেই।

/এফএএন/