নতুন এই পদ্ধতিকে ‘লিপ ট্রায়াল’ নাম দেওয়া হয়েছে। এটি শুধুমাত্র শিশুদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ছোটবেলা থেকেই এই পদ্ধতিতে চেষ্টা করলে এলার্জির ভয়ঙ্কর রূপ রুখে দেওয়া সম্ভব বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজের পরিচালক ডক্টর অ্যান্থনি ফসি জানান, ইতোমধ্যেই এই ‘লিপ ট্রায়াল’ বেশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি এলার্জিতে ভোগা শিশুদের পিতামাতা ও শিক্ষকদের বেশ উপকার করবে।
গবেষকরা তিনভাগে শিশুদের ভাগ করেছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সামান্য ঝুঁকিপূর্ণ শিশু। এবং যেসব শিশুর পারিবারিক ইতিহাস বলে চিনাবাদামে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট তাদেরকে ছোটবেলাতেই একবার এলার্জি পরীক্ষা করতে হবে, যদি পরীক্ষায় এলার্জি সেই বয়সে এলার্জি ধরা না পড়ে তবে তখন থেকেই চিনা বাদাম খাওয়ানোর শুরু করতে হবে। সেই বয়সে খাওয়ালে অভ্যাস গড়ে উঠবে এবং এলার্জি সম্ভাবনা কমে আসবে। অন্যদিকে কম ঝুঁকিপূর্ণদের ক্ষেত্রে যেকোনও বয়সেই চীনা বাদাম ও এর তৈরি খাবার নিয়মিত খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে ঝুঁকি কমিয়ে আনতে হবে। মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণদের ছয় মাসে একবার চীনা বাদামের তৈরি খাবার নিয়ম করে খাওয়াতে হবে।
তবে এই পদ্ধতি আপনি তখনই অনুসরণ করতে পারবেন যখন চিকিৎসক নিশ্চিত করবে আপনার পরিবারের সদস্যের চিনা বাদামের এলার্জি কোন পর্যায়ে রয়েছে।
/এফএএন/