এমনিভাবে সাতক্ষীরার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে চলছে মাসকলাই ও চাল কুমড়া বড়ি তৈরির মহোৎসব। শীত এলেই সুস্বাধু ও পুষ্টিকর খাবারটি তৈরির ধুম পড়ে যায়।
সাতক্ষীরা শহরের রাজার বাগান এলাকার মারুফা বেগম জানান, তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে ও রসনা বিলাসে শীত মৌসুমে কুমড়া-বড়ি তৈরি করে থাকি। কলুর ডাল (মাসকলাই) ও কুমড়া দিয়ে তৈরি বড়ি সংরক্ষণ করে বছরের বিভিন্ন সময় রান্না করা যায়।
মাসকলায়ের পাশাপাশি অনেকে পেঁপে ও মুলা দিয়ে বড়ি তৈরি করেন। পরে রোদে শুকানোর জন্য বড়ি করে সাজিয়ে শুকাতে দেওয়া হয়। ওই বড়ি ২-৩ দিন কড়া রোদে শুকাতে হয়।
তিনি আরও বলেন, বড়ি দেশিয় জাতের মাগুর, কৈ, শৈলসহ বিভিন্ন মাছের তরকারি রান্নায় করা হয়ে থাকে। এটি তরকারি স্বাদের বৈচিত্র্য আনে।
এটি মূলত শীতের মৌসুমে তৈরি করতে হয়। তবে এখন মাসকলাই ও চালকুমড়াসহ আনুসাঙ্গিক জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বড়ি তৈরি খুবই ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
সাতক্ষীরার শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের ব্যবসায়ী জোহর আলী জানান, আমাদের বাড়িতে বড়ি তৈরি করি এছাড়া অনেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আমার কাছে বিক্রি করে যায। এসব বড়ি ২শ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি করি।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মান্নান জানান, মাসকলাই-চালকুমড়া দিয়ে তৈরি বড়ি অনেক নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন মাছের বিকল্প হিসেবে রান্না করেন।এতে তাদের আর্থিক সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি কিছুটা পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হয়।
/এফএএন/